বিশ্বকাপের সঙ্গে ২৫ দেশ ঘুরলেন এক বঙ্গসন্তান
, Ei Samay
অমরেন্দ্র চক্রবর্তী
যে সোনার কাপ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে এত উন্মাদনা, সেই বিশ্বকাপ নিয়ে ২৫টি দেশ ঘুরে বেড়ালেন এক বঙ্গসন্তান৷ কোকাকোলার গ্লোবাল ব্র্যান্ড ডিরেক্টর (ফুটবল), টালিগঞ্জ গল্ফ রোডের বাসিন্দা অর্ণব রায়৷ কখনও ইতালি, কখনও স্পেন, কখনও আইভরি কোস্ট করে, ব্রাজিলে কাপ রেখে এসে অর্ণব এখন তাঁর আটলান্টার বাড়িতে৷ যে শহরে কোকাকোলার সদর দপ্তর৷ যে শহরে তিনি তিন বছর ধরে৷ আটলান্টা থেকে ফোনে অর্ণব রীতিমতো উত্তেজিত৷ বললেন, 'বিশ্বকাপের সঙ্গে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে ঘুরছি, এই অনুভুতির কথা বলে বোঝানো যাবে না৷ রাত দিন এক করে ট্রফি নিয়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরেছি৷ শারীরিক কষ্টটা কখনও সে ভাবে মনে হয়নি৷' এখন বিশ্বকাপ ঘুরছে ব্রাজিলের প্রত্যেকটি শহরে৷ টুর্নামেন্টের সময় ব্রাজিলে বিভিন্ন ক্লিনিক হবে৷ সেখানে তারকা ফুটবলারদের নিয়ে যেতে হবে৷ বাড়তি দায়িত্ব অর্ণবের কাঁধে৷ তাঁর কথায়, 'না দেখলে বোঝা যাবে না, ব্রাজিলের ফুটবলের উন্মাদনা কাকে বলে! কলেজে পড়ার সময় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের অনেক ম্যাচ দেখেছি৷ ব্রাজিলের তুলনায় সেই উন্মাদনা কিছুই নয়৷' কিন্ত্ত ব্রাজিলে যে বিক্ষোভ চলছে, বিশ্বকাপ আদৌ সফল করা যাবে? অর্ণবের জবাব, 'এটা একেবারেই আলাদা বিযয়৷ আমাদের দেখার দায়িত্বও নয়৷ কিন্ত্ত দেখেশুনে মনে হচ্ছে, ফুটবল মাঠে নামলে এ সব কিছুটা থেমে যাবে৷' আসন্ন বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন তারকাদের হাজির করানোর জন্য তাঁকে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় ফিফার সদর দপ্তর জুরিখে৷ ১৪ বছর ধরে কোকাকোলায়৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত কোকাকোলা ও ভারতীয় ফুটবলের স্পনসরশিপের ব্যাপারটা দেখতেন৷ তারপর পাড়ি দেন আটলান্টায়৷ কোথায় ভারতীয় ফুটবল, কোথাও বিশ্বকাপ? কোনও তুলনা টানতে চান সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী৷ বললেন, 'না না, নিজের দেশের সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলতে চাই না৷ তবে সুযোগ ছিল প্রচুর, আমরা (পড়ুন ভারতীয় ফুটবল কর্তারা) সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি৷' তাঁরই উদ্যোগে ২০১৭ সালে যুব বিশ্বকাপ করার দায়িত্ব পেয়েছে ভারত৷ যদিও সে কথা মুখে আনতে চান না৷ তিনি এখন বিশ্বকাপে মশগুল৷ বললেন, '৯ মাসের জন্য বিশ্বকাপটা আমাদের সংস্থা হাতে পায়৷ ২৫টি দেশে আমি ট্রফি নিয়ে গেলেও ট্রফিটা ঘুরেছে ৯০টি দেশে৷ বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গেলে আবার ফিফার নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে ট্রফি৷ ফাইনালের দিন আবার আমরা ট্রফিটা হাতে পাব৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ঝামেলা হয়নি, এটাই রক্ষে৷' চাকরি জীবনে এটাই তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ৷ ফলে কোনওমতে সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন৷ বিশ্বের প্রাক্তন তারকাদের নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখার জন্য৷ গুজরাত আইএমএমের প্রাক্তন ছাত্র বললেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও তারকার সঙ্গে কথা হয়নি৷ তবে আমরা দেখি তারকাদের দেশের পরিকাঠামো৷' বিদেশে থাকলে ভারতীয় ফুটবল সর্ম্পকে সব কিছুই জানেন তিনি৷ সদ্য আই লিগ থেকে বাতিল হওয়া ক্লাবগুলোদের নাম বলে গেলেন গড়গড় করে৷ একটা দেশের ফুটবল পরিকাঠামো কেমন হলে ভালো হয়? অর্ণব বললেন, 'তা জানতে হলে স্পেন, জার্মানি যেতে হবে এমন নয়৷ আমাদের এশিয়াতেই চিন, জাপান, ভিয়েতনাম রয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা করা যায় না৷ খারাপ লাগে৷ আমাদের ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে দেখে রাগ হয়৷ অর্থ সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছে ও পরিকল্পনার৷ নার্সারি স্তরে ফুটবলার তুলতে গেলে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়৷ কাজে নামলে টাকার অভাব হয় না৷ বড় বাজেটের দল তৈরি করে সঙ্গে নাম কা-ওয়াস্তে সামান্য একটা জুনিয়র দল রেখে কোনও লাভ নেই৷ একবার অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ফুটবল করতে গিয়ে দেখেছিলাম, কী করুণ পরিণতি ভারতীয় ফুটবলের৷ সন্তোষ ট্রফিতেও একই হাল দেখেছি৷ কলেজে পড়ার সময় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে যে গ্যালারি ছিল, এখনও তাই৷ যদিও শুনছি, ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারি নাকি কিছুটা বদলেছে৷' ক্ষোভের সুর অর্ণবের গলায়৷
যে সোনার কাপ নিয়ে বিশ্ব জুড়ে এত উন্মাদনা, সেই বিশ্বকাপ নিয়ে ২৫টি দেশ ঘুরে বেড়ালেন এক বঙ্গসন্তান৷ কোকাকোলার গ্লোবাল ব্র্যান্ড ডিরেক্টর (ফুটবল), টালিগঞ্জ গল্ফ রোডের বাসিন্দা অর্ণব রায়৷ কখনও ইতালি, কখনও স্পেন, কখনও আইভরি কোস্ট করে, ব্রাজিলে কাপ রেখে এসে অর্ণব এখন তাঁর আটলান্টার বাড়িতে৷ যে শহরে কোকাকোলার সদর দপ্তর৷ যে শহরে তিনি তিন বছর ধরে৷ আটলান্টা থেকে ফোনে অর্ণব রীতিমতো উত্তেজিত৷ বললেন, 'বিশ্বকাপের সঙ্গে বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে ঘুরছি, এই অনুভুতির কথা বলে বোঝানো যাবে না৷ রাত দিন এক করে ট্রফি নিয়ে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘুরেছি৷ শারীরিক কষ্টটা কখনও সে ভাবে মনে হয়নি৷' এখন বিশ্বকাপ ঘুরছে ব্রাজিলের প্রত্যেকটি শহরে৷ টুর্নামেন্টের সময় ব্রাজিলে বিভিন্ন ক্লিনিক হবে৷ সেখানে তারকা ফুটবলারদের নিয়ে যেতে হবে৷ বাড়তি দায়িত্ব অর্ণবের কাঁধে৷ তাঁর কথায়, 'না দেখলে বোঝা যাবে না, ব্রাজিলের ফুটবলের উন্মাদনা কাকে বলে! কলেজে পড়ার সময় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের অনেক ম্যাচ দেখেছি৷ ব্রাজিলের তুলনায় সেই উন্মাদনা কিছুই নয়৷' কিন্ত্ত ব্রাজিলে যে বিক্ষোভ চলছে, বিশ্বকাপ আদৌ সফল করা যাবে? অর্ণবের জবাব, 'এটা একেবারেই আলাদা বিযয়৷ আমাদের দেখার দায়িত্বও নয়৷ কিন্ত্ত দেখেশুনে মনে হচ্ছে, ফুটবল মাঠে নামলে এ সব কিছুটা থেমে যাবে৷' আসন্ন বিশ্বকাপের সময় বিভিন্ন দেশের প্রাক্তন তারকাদের হাজির করানোর জন্য তাঁকে নিয়মিত যোগাযোগ করতে হয় ফিফার সদর দপ্তর জুরিখে৷ ১৪ বছর ধরে কোকাকোলায়৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত কোকাকোলা ও ভারতীয় ফুটবলের স্পনসরশিপের ব্যাপারটা দেখতেন৷ তারপর পাড়ি দেন আটলান্টায়৷ কোথায় ভারতীয় ফুটবল, কোথাও বিশ্বকাপ? কোনও তুলনা টানতে চান সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী৷ বললেন, 'না না, নিজের দেশের সম্পর্কে কোনও নেতিবাচক কথা বলতে চাই না৷ তবে সুযোগ ছিল প্রচুর, আমরা (পড়ুন ভারতীয় ফুটবল কর্তারা) সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি৷' তাঁরই উদ্যোগে ২০১৭ সালে যুব বিশ্বকাপ করার দায়িত্ব পেয়েছে ভারত৷ যদিও সে কথা মুখে আনতে চান না৷ তিনি এখন বিশ্বকাপে মশগুল৷ বললেন, '৯ মাসের জন্য বিশ্বকাপটা আমাদের সংস্থা হাতে পায়৷ ২৫টি দেশে আমি ট্রফি নিয়ে গেলেও ট্রফিটা ঘুরেছে ৯০টি দেশে৷ বিশ্বকাপ শুরু হয়ে গেলে আবার ফিফার নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে ট্রফি৷ ফাইনালের দিন আবার আমরা ট্রফিটা হাতে পাব৷ তবে এখনও পর্যন্ত কোনও ঝামেলা হয়নি, এটাই রক্ষে৷' চাকরি জীবনে এটাই তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ৷ ফলে কোনওমতে সুযোগ হাতছাড়া করতে রাজি নন৷ বিশ্বের প্রাক্তন তারকাদের নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন সেমিনারে বক্তব্য রাখার জন্য৷ গুজরাত আইএমএমের প্রাক্তন ছাত্র বললেন, 'এখনও পর্যন্ত কোনও তারকার সঙ্গে কথা হয়নি৷ তবে আমরা দেখি তারকাদের দেশের পরিকাঠামো৷' বিদেশে থাকলে ভারতীয় ফুটবল সর্ম্পকে সব কিছুই জানেন তিনি৷ সদ্য আই লিগ থেকে বাতিল হওয়া ক্লাবগুলোদের নাম বলে গেলেন গড়গড় করে৷ একটা দেশের ফুটবল পরিকাঠামো কেমন হলে ভালো হয়? অর্ণব বললেন, 'তা জানতে হলে স্পেন, জার্মানি যেতে হবে এমন নয়৷ আমাদের এশিয়াতেই চিন, জাপান, ভিয়েতনাম রয়েছে৷ ভারতের সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা করা যায় না৷ খারাপ লাগে৷ আমাদের ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানকে দেখে রাগ হয়৷ অর্থ সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ইচ্ছে ও পরিকল্পনার৷ নার্সারি স্তরে ফুটবলার তুলতে গেলে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়৷ কাজে নামলে টাকার অভাব হয় না৷ বড় বাজেটের দল তৈরি করে সঙ্গে নাম কা-ওয়াস্তে সামান্য একটা জুনিয়র দল রেখে কোনও লাভ নেই৷ একবার অনূর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ফুটবল করতে গিয়ে দেখেছিলাম, কী করুণ পরিণতি ভারতীয় ফুটবলের৷ সন্তোষ ট্রফিতেও একই হাল দেখেছি৷ কলেজে পড়ার সময় ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানে যে গ্যালারি ছিল, এখনও তাই৷ যদিও শুনছি, ইস্টবেঙ্গলের গ্যালারি নাকি কিছুটা বদলেছে৷' ক্ষোভের সুর অর্ণবের গলায়৷
No comments:
Post a Comment