বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলার ছবি ‘হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগ’
, Ei Samay
অভিষেক সেনগুপ্ত
কলকাতা থেকে সাও পাওলোর এরিনা কোরিন্থিয়ান্স! নরেন্দ্রপুর থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! বাংলা আর বাঙালি হইহই করে ঢুকে পড়তে চলেছে ব্রাজিল বিশ্বকাপে!
১২ জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনের ঠিক পরেই ব্রাজিল আর ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ৷ উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর আগে কোরিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছেয়ে ফেলবে এক বিশাল পতাকা৷ যার নাম 'হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগ'৷ সারা বিশ্বের নানা দেশের ফুটবল খেলার মুহূর্তের নানা কোলাজ নিয়ে তৈরি হচ্ছে সেই ফ্ল্যাগ৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেই বিশ্ব পতাকায় জায়গা পেতে চলেছে খাস বাংলার ফুটবল মুহূর্তের ছ'টা ঝলমলে ছবি৷ একটি নামী ফুটবল ওয়েবসাইট 'গোলডেন টাইমস'এর নির্বাচিত ছবি ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে ফিফা৷
ওই ওয়েবসাইটের সাংবাদিক ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দিল্লি থেকে ফোনে বলে দিলেন, 'জীবনের সেরা স্বীকৃতি বলতে পারেন৷ আমরা ভাবিনি যে আমাদের পাঠানো ছবি অন্য দেশগুলোর সঙ্গে হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে জায়গা পাবে৷' বিশ্বকাপে 'হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগ' এই প্রথম৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর কোকাকোলাই এ বার নিয়েছে এই উদ্যোগ৷ ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের আগে যে পতাকা তুলে ধরা হবে গ্যালারিতে৷
হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে কী ভাবে জায়গা পেল বাংলার ছবি?
গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবসে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল 'গোলডেন টাইমস'৷ সঙ্গে ২৫ জন অনাথ শিশুকে নিয়ে দিনভর নানা কর্মসূচি৷ জার্সি দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের ফুটবল কোচিংও দেওয়া হয়৷ ওই দিনই ফুটবল ম্যাচের ছ'টি কোলাজ তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগের উদ্যোক্তা কোকাকোলাকে৷ বহু দেশের মধ্যে তারাই বেছে নিয়েছে বাংলার ফুটবল আবেগের নিখাদ কিছু ছবির কোলাজ৷
ইন্দ্রনাথবাবু বলছিলেন, 'আমরা ছবিগুলো পাঠিয়ে এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিলাম৷ ভাবিনি যে, হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে জায়গা পেতে পারি৷ কিন্ত্ত কয়েক দিন আগে জানতে পেরে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি৷ বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলার ফুটবল যে জায়গা পাবে, এটাই বিরাট ব্যাপার৷ তাও কিনা হ্যাপি ফ্ল্যাগে৷'
এত উচ্ছ্বাসের মধ্যেও হতাশা কম নেই৷ 'গোলডেন টাইমসের' তরফ থেকে বিশ্বকাপের উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারবেন না ইন্দ্রনাথবাবুরা৷ তাঁরা গিয়ে পৌঁছবেন দু'দিন পর৷ কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই ইন্দ্রনাথবাবু বলছিলেন, 'ভেবেছিলাম, বিশ্বকাপ উদ্বোধনের দিনেই থাকব সাও পাওলোতে৷ কিন্ত্ত সেটা হচ্ছে না৷ দু'দিন পরে গিয়ে পৌঁছব৷' একটু থেমে ফের জুড়ে দিলেন, 'আমরা না থাকি, আমাদের ছবি তো থাকছে বিশ্বকাপে৷'
শুধু কি ছবি, বাংলা আর বাঙালিও মিশে যেতে চলেছে ব্রাজিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আবেগে -উন্মাদনায় !এই সেই ছবির কোলাজ৷ যা স্বীকৃতি পেয়েছে ফিফার স্পনসরের ওয়েবসাইটে৷
কলকাতা থেকে সাও পাওলোর এরিনা কোরিন্থিয়ান্স! নরেন্দ্রপুর থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান! বাংলা আর বাঙালি হইহই করে ঢুকে পড়তে চলেছে ব্রাজিল বিশ্বকাপে!
১২ জুন বিশ্বকাপের উদ্বোধনের ঠিক পরেই ব্রাজিল আর ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ৷ উদ্বোধনী ম্যাচ শুরুর আগে কোরিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামের গ্যালারি ছেয়ে ফেলবে এক বিশাল পতাকা৷ যার নাম 'হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগ'৷ সারা বিশ্বের নানা দেশের ফুটবল খেলার মুহূর্তের নানা কোলাজ নিয়ে তৈরি হচ্ছে সেই ফ্ল্যাগ৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেই বিশ্ব পতাকায় জায়গা পেতে চলেছে খাস বাংলার ফুটবল মুহূর্তের ছ'টা ঝলমলে ছবি৷ একটি নামী ফুটবল ওয়েবসাইট 'গোলডেন টাইমস'এর নির্বাচিত ছবি ইতিমধ্যেই স্বীকৃতি দিয়ে দিয়েছে ফিফা৷
ওই ওয়েবসাইটের সাংবাদিক ইন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় দিল্লি থেকে ফোনে বলে দিলেন, 'জীবনের সেরা স্বীকৃতি বলতে পারেন৷ আমরা ভাবিনি যে আমাদের পাঠানো ছবি অন্য দেশগুলোর সঙ্গে হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে জায়গা পাবে৷' বিশ্বকাপে 'হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগ' এই প্রথম৷ ব্রাজিল বিশ্বকাপের অন্যতম স্পনসর কোকাকোলাই এ বার নিয়েছে এই উদ্যোগ৷ ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের আগে যে পতাকা তুলে ধরা হবে গ্যালারিতে৷
হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে কী ভাবে জায়গা পেল বাংলার ছবি?
গত বছর ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবসে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল 'গোলডেন টাইমস'৷ সঙ্গে ২৫ জন অনাথ শিশুকে নিয়ে দিনভর নানা কর্মসূচি৷ জার্সি দেওয়া থেকে শুরু করে তাদের ফুটবল কোচিংও দেওয়া হয়৷ ওই দিনই ফুটবল ম্যাচের ছ'টি কোলাজ তুলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগের উদ্যোক্তা কোকাকোলাকে৷ বহু দেশের মধ্যে তারাই বেছে নিয়েছে বাংলার ফুটবল আবেগের নিখাদ কিছু ছবির কোলাজ৷
ইন্দ্রনাথবাবু বলছিলেন, 'আমরা ছবিগুলো পাঠিয়ে এক প্রকার ভুলেই গিয়েছিলাম৷ ভাবিনি যে, হ্যাপিনেস ফ্ল্যাগে জায়গা পেতে পারি৷ কিন্ত্ত কয়েক দিন আগে জানতে পেরে আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছি৷ বিশ্বকাপের মতো আসরে বাংলার ফুটবল যে জায়গা পাবে, এটাই বিরাট ব্যাপার৷ তাও কিনা হ্যাপি ফ্ল্যাগে৷'
এত উচ্ছ্বাসের মধ্যেও হতাশা কম নেই৷ 'গোলডেন টাইমসের' তরফ থেকে বিশ্বকাপের উদ্বোধনে হাজির থাকতে পারবেন না ইন্দ্রনাথবাবুরা৷ তাঁরা গিয়ে পৌঁছবেন দু'দিন পর৷ কিছুটা আক্ষেপ নিয়েই ইন্দ্রনাথবাবু বলছিলেন, 'ভেবেছিলাম, বিশ্বকাপ উদ্বোধনের দিনেই থাকব সাও পাওলোতে৷ কিন্ত্ত সেটা হচ্ছে না৷ দু'দিন পরে গিয়ে পৌঁছব৷' একটু থেমে ফের জুড়ে দিলেন, 'আমরা না থাকি, আমাদের ছবি তো থাকছে বিশ্বকাপে৷'
শুধু কি ছবি, বাংলা আর বাঙালিও মিশে যেতে চলেছে ব্রাজিল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আবেগে -উন্মাদনায় !এই সেই ছবির কোলাজ৷ যা স্বীকৃতি পেয়েছে ফিফার স্পনসরের ওয়েবসাইটে৷
No comments:
Post a Comment