মুনাল চট্টোপাধ্যায়: বয়স শরীরে থাবা বসিয়েছে। অনেক স্মৃতি ধূসর। কথা বলেন ধীরে ধীরে। তবু মজিদ বাসকারের নাম করতেই পি কে ব্যানার্জির চোখ খুশিতে জ্বলজ্বল।
সল্টলেকের বাড়িতে আরাম কেদারায় বসে পড়ন্ত বিকেলে হাঁটতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পি কে–র। রোজই যান। সকালে ইকো পার্কে। আর বিকেলে রাজারহাটের প্যাঁচার মোড়ে। মজিদের কথা তুলতেই হাঁটা বাতিল করে আড্ডায় মজে গেলেন পি কে। মজিদ তাঁর খোঁজ করেছেন শুনে ৮০–র সোনালি দিনগুলোর স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেনি।
মজিদের চোখ জুড়ানো ফুটবল আজও তাঁর মনে গেঁথে। বললেন, ‘ভারতে মজিদের মানের বিদেশি আসেনি। চিমা, এমেকাদের মাথায় রেখেই বলছি। ধূমকেতুর মতো ওর আবির্ভাব ঘটেছিল। মরশুমের শুরুতে বেরিয়ে গিয়েছিল ভাস্কর, মিহির, প্রশান্ত, চিন্ময়, শ্যামল, সুরজিৎ, ডেভিড উইলিয়ামস, সাবিররা। সিনিয়র বলতে সুধীর, হাবিব, হরজিন্দার। মোহনবাগান থেকে দিলীপ পালিত, মহমেডান থেকে লতিফুদ্দিন। ভাঙাচোরা দল। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে আশঙ্কা। তখনই আমার হাতে এল ইরানের দুই ছাত্র ফুটবলার মজিদ, জামশিদ। একাই দলকে টানতে পারে দেখিয়েছিল মজিদ। জামশিদ সেই মানের ছিল না। কিন্তু মজিদের জন্যই উজ্জ্বল লাগত। দুর্দান্ত ড্রিবল করতে আগেও অনেককে দেখেছি। পাওয়ার ফুটবলের দক্ষতাও। মজিদ সকলের থেকে আলাদা। ড্রিবলিংয়ের থেকেও মজিদ নজর কেড়েছিল বডি ফেইন্টে। বল নিয়ে ও ছাড়া শরীরের ঝটকায় প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের টলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত। এই স্কিল কারও মধ্যে দেখিনি। শিল্পী ফুটবলার যাকে বলে তাই। অল্প জায়গায় গোলার মতো শট নিত। ৮০–তে ফেডারেশন কাপে মজিদের খেলা সমর্থকদের ভরসা জোগায়। পরেও মজিদ ম্যাজিক দেখা গেছে। তবে বেশিদিন কলকাতায় খেলল না। ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব, আর উধাও হয়ে গেল সেই ঢঙে।’
খেলার বাইরের মজিদের কোনও ঘটনা কি মনে পড়ে? পি কে বলেন, ‘মজিদকে কোনও এক সমর্থক ইলিশের মালা পরিয়েছিল। কী করে সেই মাছ খেতে হয় জানত না। আমার কাছে আবদার করেছিল ইলিশ খাওয়ানোর। ওকে বাড়িতে ডেকেছিলাম। ইলিশে প্রচণ্ড কাঁটা। আমার স্ত্রী আরতি বাজার থেকে বড় মাপের ইলিশের ডিমভরা পেটির তিন টুকরো আলাদা করে কাটিয়ে এনেছিল। মজিদ মুগ্ধ হয়েছিল। আরতি যত্ন করে কাঁটা বেছেও দিয়েছিল।’ শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইনডোরে গিয়ে মজিদের আসার কথা শুনেছিলেন। এখন মজিদ কলকাতায়। গুরু পি কে–র সঙ্গে তিনি দেখা করে যাবেন কি, কলকাতা ছাড়ার আগে।
সল্টলেকের বাড়িতে আরাম কেদারায় বসে পড়ন্ত বিকেলে হাঁটতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল পি কে–র। রোজই যান। সকালে ইকো পার্কে। আর বিকেলে রাজারহাটের প্যাঁচার মোড়ে। মজিদের কথা তুলতেই হাঁটা বাতিল করে আড্ডায় মজে গেলেন পি কে। মজিদ তাঁর খোঁজ করেছেন শুনে ৮০–র সোনালি দিনগুলোর স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেনি।
মজিদের চোখ জুড়ানো ফুটবল আজও তাঁর মনে গেঁথে। বললেন, ‘ভারতে মজিদের মানের বিদেশি আসেনি। চিমা, এমেকাদের মাথায় রেখেই বলছি। ধূমকেতুর মতো ওর আবির্ভাব ঘটেছিল। মরশুমের শুরুতে বেরিয়ে গিয়েছিল ভাস্কর, মিহির, প্রশান্ত, চিন্ময়, শ্যামল, সুরজিৎ, ডেভিড উইলিয়ামস, সাবিররা। সিনিয়র বলতে সুধীর, হাবিব, হরজিন্দার। মোহনবাগান থেকে দিলীপ পালিত, মহমেডান থেকে লতিফুদ্দিন। ভাঙাচোরা দল। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মনে আশঙ্কা। তখনই আমার হাতে এল ইরানের দুই ছাত্র ফুটবলার মজিদ, জামশিদ। একাই দলকে টানতে পারে দেখিয়েছিল মজিদ। জামশিদ সেই মানের ছিল না। কিন্তু মজিদের জন্যই উজ্জ্বল লাগত। দুর্দান্ত ড্রিবল করতে আগেও অনেককে দেখেছি। পাওয়ার ফুটবলের দক্ষতাও। মজিদ সকলের থেকে আলাদা। ড্রিবলিংয়ের থেকেও মজিদ নজর কেড়েছিল বডি ফেইন্টে। বল নিয়ে ও ছাড়া শরীরের ঝটকায় প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের টলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখত। এই স্কিল কারও মধ্যে দেখিনি। শিল্পী ফুটবলার যাকে বলে তাই। অল্প জায়গায় গোলার মতো শট নিত। ৮০–তে ফেডারেশন কাপে মজিদের খেলা সমর্থকদের ভরসা জোগায়। পরেও মজিদ ম্যাজিক দেখা গেছে। তবে বেশিদিন কলকাতায় খেলল না। ধূমকেতুর মতো আবির্ভাব, আর উধাও হয়ে গেল সেই ঢঙে।’
খেলার বাইরের মজিদের কোনও ঘটনা কি মনে পড়ে? পি কে বলেন, ‘মজিদকে কোনও এক সমর্থক ইলিশের মালা পরিয়েছিল। কী করে সেই মাছ খেতে হয় জানত না। আমার কাছে আবদার করেছিল ইলিশ খাওয়ানোর। ওকে বাড়িতে ডেকেছিলাম। ইলিশে প্রচণ্ড কাঁটা। আমার স্ত্রী আরতি বাজার থেকে বড় মাপের ইলিশের ডিমভরা পেটির তিন টুকরো আলাদা করে কাটিয়ে এনেছিল। মজিদ মুগ্ধ হয়েছিল। আরতি যত্ন করে কাঁটা বেছেও দিয়েছিল।’ শতবর্ষের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইনডোরে গিয়ে মজিদের আসার কথা শুনেছিলেন। এখন মজিদ কলকাতায়। গুরু পি কে–র সঙ্গে তিনি দেখা করে যাবেন কি, কলকাতা ছাড়ার আগে।
No comments:
Post a Comment