দেবাশিস দত্ত- একজনের বাড়ি বেলঘরিয়ায়। অন্যজনের গলফ গ্রিনে। দু’জনেই স্টপার। দু’জনেই দেখেছেন সেরা ফর্মের মজিদ বাসকারকে। দু’জনের সঙ্গেই দেখা করতে চেয়েছেন মজিদ। তবে বেলঘরিয়ার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য মনে করেন, ভারতে আসা বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে মজিদ বাসকারই সেরা। গলফ গ্রিনের সুব্রত ভট্টাচার্য তাঁর সঙ্গে একমত নন।
সোমবার মনোরঞ্জন বলছিলেন, ‘আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসার সময় মজিদ ইংরেজি বিশেষ বুঝত না। কিন্তু আমরা ওকে ভালবেসে ফেলেছিলাম ওর স্কিল দেখে। সঙ্গে ছিল জামশিদ। যে পরে খুব উন্নতি করেছিল হেডার হিসেবে। কিন্তু মজিদ হল মজিদ। সত্যিকারের কোয়ালিটি ফুটবলার। নিজে গোল করতে পারত। করাতে পারত। একটু পেছন দিক থেকে খেলত। অপ্রয়োজনীয় ড্রিবল করত না। বাঁ পা–টা সোনা দিয়ে মোড়ানো। টাচ ফুটবল বলতে যা বোঝায়, মজিদ ছিল সেই ঘরানার ফুটবলার। প্রথম দিনই প্র্যাকটিসে ওর বল ধরা–ছাড়ার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের ছাপ দেখেছিলাম।’ ১৯৮০ সালে রোভার্স কাপে মজিদের গোলের কথা মনে করালেন মনোরঞ্জন, ‘মহমেডান ডিফেন্স থেকে সম্ভবত মইদুল ইসলাম হেড করে ক্লিয়ার করেছিল। বল শূন্যে থাকতে থাকতেই মাটিতে পড়তে না দিয়ে ভলি নিয়েছিল। বুলেটের গতিতে সেকেন্ড পোস্টের জালে চলে গিয়েছিল। ভাস্কর গাঙ্গুলি নড়তে পর্যন্ত পারেনি।’
লাল–হলুদের মনার আরও উচ্ছ্বাস, ‘যারা ফুটবল বোঝে না, তারাও ওর খেলা দেখে সহজে বুঝে যায় যে, ও এক অন্য জাতের ফুটবলার। ভাঙা হাটে ইস্টবেঙ্গলে এসেছিল মজিদ। ও আসায় গোটা ক্লাবের চেহারা বদলে গিয়েছিল। আমরা সামলেছিলাম রক্ষণ। মজিদ দায়িত্ব নিয়েছিল আক্রমণের। সেবার ইস্টবেঙ্গল গোটা মরশুমে একটি মাত্র ম্যাচ হেরেছিলা। ডিসিএম–এ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দলের বিরুদ্ধে। মজিদের মতো শিল্পী ফুটবলার ভারতবর্ষে আসেনি।’
প্রতিবাদ করলেন সুব্রত, ‘শিল্পী বলতে আপত্তি নেই। স্টপার হিসেবে একজন শিল্পীকে সামলানো সোজা। ওর চেয়ে গতিময়, পাওয়ার ফুটবলার চিমা ওকোরিকে আটকানো ছিল কঠিন। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে চিমাই সেরা। মজিদের খেলা দেখতে ভাল। কিন্তু গুঁতোগুঁতিতে গুটিয়ে যেত। বিপক্ষ ডিফেন্স চালিয়ে খেলতে চাইলে দাঁড়িয়ে পড়ত। এসব জায়গায়, বিশেষত বক্সের মধ্যে চিমা অনেক বেশি ডেঞ্জারাস। ময়দানে বহু সময় হুড়ুমতাল ফুটবল চলে। এসব জায়গায় মজিদ বলই পাবে না। হেড ভাল ছিল না। কিন্তু বল বাড়াত মেপে। যেন তিনটে মুভ আগেই বুঝে যেত, কোথায় পাস করতে হবে। আমরা ওকে ডবল কভারিংয়ে রাখতাম। যাতে ওয়ান ইজ টু ওয়ান বেরিয়ে যেতে না পারে।’
তবে দরাজ সার্টফিকেটও দিলেন, ‘বড় ফুটবলার তো বটেই। মাথাটা পরিষ্কার। আলাদা একটা চটক ছিল। এক ক্লাবে না খেললে কী হবে, একই সময়ে ময়দান কাঁপানো ফুটবলার তো বটেই। তবে একজন ডিফেন্ডার হিসেবে আমার মনে হয়েছে, চিমা অনেক বেশি ফোর্সফুল। দূরপাল্লার জোরালো শটে কত গোল করেছে!’
লাল–হলুদের মনার আরও উচ্ছ্বাস, ‘যারা ফুটবল বোঝে না, তারাও ওর খেলা দেখে সহজে বুঝে যায় যে, ও এক অন্য জাতের ফুটবলার। ভাঙা হাটে ইস্টবেঙ্গলে এসেছিল মজিদ। ও আসায় গোটা ক্লাবের চেহারা বদলে গিয়েছিল। আমরা সামলেছিলাম রক্ষণ। মজিদ দায়িত্ব নিয়েছিল আক্রমণের। সেবার ইস্টবেঙ্গল গোটা মরশুমে একটি মাত্র ম্যাচ হেরেছিলা। ডিসিএম–এ দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দলের বিরুদ্ধে। মজিদের মতো শিল্পী ফুটবলার ভারতবর্ষে আসেনি।’
প্রতিবাদ করলেন সুব্রত, ‘শিল্পী বলতে আপত্তি নেই। স্টপার হিসেবে একজন শিল্পীকে সামলানো সোজা। ওর চেয়ে গতিময়, পাওয়ার ফুটবলার চিমা ওকোরিকে আটকানো ছিল কঠিন। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যে চিমাই সেরা। মজিদের খেলা দেখতে ভাল। কিন্তু গুঁতোগুঁতিতে গুটিয়ে যেত। বিপক্ষ ডিফেন্স চালিয়ে খেলতে চাইলে দাঁড়িয়ে পড়ত। এসব জায়গায়, বিশেষত বক্সের মধ্যে চিমা অনেক বেশি ডেঞ্জারাস। ময়দানে বহু সময় হুড়ুমতাল ফুটবল চলে। এসব জায়গায় মজিদ বলই পাবে না। হেড ভাল ছিল না। কিন্তু বল বাড়াত মেপে। যেন তিনটে মুভ আগেই বুঝে যেত, কোথায় পাস করতে হবে। আমরা ওকে ডবল কভারিংয়ে রাখতাম। যাতে ওয়ান ইজ টু ওয়ান বেরিয়ে যেতে না পারে।’
তবে দরাজ সার্টফিকেটও দিলেন, ‘বড় ফুটবলার তো বটেই। মাথাটা পরিষ্কার। আলাদা একটা চটক ছিল। এক ক্লাবে না খেললে কী হবে, একই সময়ে ময়দান কাঁপানো ফুটবলার তো বটেই। তবে একজন ডিফেন্ডার হিসেবে আমার মনে হয়েছে, চিমা অনেক বেশি ফোর্সফুল। দূরপাল্লার জোরালো শটে কত গোল করেছে!’
No comments:
Post a Comment