বন্ধু জামশিদকে দেখে আবেগে ভেসে গেলেন মজিদ বাসকার
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীর্ঘদিন পর প্রিয় বন্ধু জামশিদ নাসিরিকে দেখে আবেগতাড়িত একদা ইস্ট বেঙ্গল জনতার নয়নের মণি মজিদ বাসকার। রবিবার বিকেলে জামশিদ নাসিরি হোটেলে গিয়ে দেখা করেন প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে। এক সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কাটান। সেখানে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলি থেকে ময়দানে টানা চার বছর খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁদের মধ্যে নানা কথা হয়। ১৯৮০ ও ১৯৮১ সালে মজিদ ও জামশিদ একসঙ্গে খেলেছিলেন ইস্ট বেঙ্গলে। ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালে তাঁরা কালো-সাদা জার্সি গায়ে একসঙ্গে খেলেছিলেন। ১৯৮৫ সালে জামশিদ ইস্ট বেঙ্গলে চলে গেলেও মজিদ আরও দু’বছর ছিলেন মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য ১৯৮৬ সালে আর তেমনভাবে খেলতে পারেননি মজিদ। এদিনের স্মৃতিচারণায় উঠে আসে কলকাতায় তাঁদের প্রথম ঠিকানা নটরাজ বিল্ডিংয়ের কথাও। জামশিদ বলছিলেন,‘প্রায় আড়াই দশক বাদে দেখা হল। মজিদের চেহারায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পুরানো দিনের অনেক কথাই হল।’
ঠিক ঠিক বিচারে মজিদ ও জামশিদের কলকাতায় প্রথম ক্লাব হওয়ার কথা ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সুলেমান খুরশিদ, হায়দার আলি নস্করদের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের দলবদলের আগে এরফান তাহের- গোলাম মুস্তাফারা (মামা) হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনে জিতে যান। ১৯৭৯ সালে ইস্ট বেঙ্গলের বাঙালি ফুটবলারদের সঙ্গে ভিনরাজ্যের খেলোয়াড়দের বিবাদের ফলে ১৯৮০ সালে ভাস্কর গাঙ্গুলি, প্রশান্ত ব্যানার্জি, সুরজিৎ সেনগুপ্তসহ সাত-আটজন ফুটবলার চলে যান মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। তাই এরফান তাহের প্রথম সুযোগেই দারুণ দল গড়েছিলেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মজিদ-জামশিদ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে দারুণ খেলছেন সেই খবর ছিল মহমেডান শিবিরের পরাজিত গোষ্ঠীর কাছে। তাঁরাই ইস্ট বেঙ্গলের তৎকালীন সহ সচিব অরুণ ভট্টাচার্যকে সন্ধান দিয়েছিলেন মজিদ- জামশিদের। লাল-হলুদে ওই দুই বছর মজিদ- জামশিদকে দেখাশোনা করতেন রাজশাহীর ছিন্নমূল পরিরার থেকে ক্লাব প্রশাসনে উঠে আসা অরুণ ভট্টাচার্য, ক্লাবের অন্দরে যিনি পরিচিত ছিলেন ‘মধুদা’ হিসাবে।
মজিদের সঙ্গে এসেছেন তাঁর এজেন্ট। আছেন ভাইপোরাও। মজিদের রবিবার হোটেলেই বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যার পর তিনি সিসিএফসি ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। টপ ফর্মে অনেক সময়ে এই ক্লাবেই বাড়তি প্র্যাকটিস করতেন তিনি এবং জামশিদ। শেষোক্তজন তো সিএফসি ফুটবল টিমের সঙ্গে জড়িত। আইএফএ’তে জামশিদ সিএফসি’র সরকারি প্রতিনিধি। বন্ধুর সাহচর্যে রবিবারের সন্ধ্যা বেশ ভালোই কাটল মজিদের।
দমদম বিমানবন্দরে তেহরান থেকে আসা বিমানটির নামার কথা ছিল রাত ২.২০ মিনিটে। কিন্তু ফ্লাইট দেরি থাকায় রাত সোয়া তিনটে নাগাদ তেহরান থেকে আসা বিমানটি দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিকিউরিটি চেকিংয়ের পর ভোর পৌনে চারটা নাগাদ তিনি দমদম বিমানবন্দর থেকে বের হতেই উদ্বেলিত জনতা জয়ধ্বনি দিতে থাকে তাঁর নামে। বেশ কিছু সমর্থক তাঁর কাছাকাছি চলে আসেন। বেশি রাতে দমদম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা ঢিলেঢালা ছিল। নিরাপত্তাহীনতার জন্য আবার ভিতরে ঢুকে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরে আবার বেরিয়ে ভোর রাতে মধ্য কলকাতার হোটেলে ওঠেন ‘আশির বাদশা’।
ঠিক ঠিক বিচারে মজিদ ও জামশিদের কলকাতায় প্রথম ক্লাব হওয়ার কথা ছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সুলেমান খুরশিদ, হায়দার আলি নস্করদের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের দলবদলের আগে এরফান তাহের- গোলাম মুস্তাফারা (মামা) হাড্ডাহাড্ডি নির্বাচনে জিতে যান। ১৯৭৯ সালে ইস্ট বেঙ্গলের বাঙালি ফুটবলারদের সঙ্গে ভিনরাজ্যের খেলোয়াড়দের বিবাদের ফলে ১৯৮০ সালে ভাস্কর গাঙ্গুলি, প্রশান্ত ব্যানার্জি, সুরজিৎ সেনগুপ্তসহ সাত-আটজন ফুটবলার চলে যান মহমেডান স্পোর্টিংয়ে। তাই এরফান তাহের প্রথম সুযোগেই দারুণ দল গড়েছিলেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা মজিদ-জামশিদ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে দারুণ খেলছেন সেই খবর ছিল মহমেডান শিবিরের পরাজিত গোষ্ঠীর কাছে। তাঁরাই ইস্ট বেঙ্গলের তৎকালীন সহ সচিব অরুণ ভট্টাচার্যকে সন্ধান দিয়েছিলেন মজিদ- জামশিদের। লাল-হলুদে ওই দুই বছর মজিদ- জামশিদকে দেখাশোনা করতেন রাজশাহীর ছিন্নমূল পরিরার থেকে ক্লাব প্রশাসনে উঠে আসা অরুণ ভট্টাচার্য, ক্লাবের অন্দরে যিনি পরিচিত ছিলেন ‘মধুদা’ হিসাবে।
মজিদের সঙ্গে এসেছেন তাঁর এজেন্ট। আছেন ভাইপোরাও। মজিদের রবিবার হোটেলেই বিশ্রাম নেওয়ার কথা ছিল। সন্ধ্যার পর তিনি সিসিএফসি ক্লাবে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। টপ ফর্মে অনেক সময়ে এই ক্লাবেই বাড়তি প্র্যাকটিস করতেন তিনি এবং জামশিদ। শেষোক্তজন তো সিএফসি ফুটবল টিমের সঙ্গে জড়িত। আইএফএ’তে জামশিদ সিএফসি’র সরকারি প্রতিনিধি। বন্ধুর সাহচর্যে রবিবারের সন্ধ্যা বেশ ভালোই কাটল মজিদের।
দমদম বিমানবন্দরে তেহরান থেকে আসা বিমানটির নামার কথা ছিল রাত ২.২০ মিনিটে। কিন্তু ফ্লাইট দেরি থাকায় রাত সোয়া তিনটে নাগাদ তেহরান থেকে আসা বিমানটি দমদম বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিকিউরিটি চেকিংয়ের পর ভোর পৌনে চারটা নাগাদ তিনি দমদম বিমানবন্দর থেকে বের হতেই উদ্বেলিত জনতা জয়ধ্বনি দিতে থাকে তাঁর নামে। বেশ কিছু সমর্থক তাঁর কাছাকাছি চলে আসেন। বেশি রাতে দমদম বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কিছুটা ঢিলেঢালা ছিল। নিরাপত্তাহীনতার জন্য আবার ভিতরে ঢুকে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরে আবার বেরিয়ে ভোর রাতে মধ্য কলকাতার হোটেলে ওঠেন ‘আশির বাদশা’।
No comments:
Post a Comment