বদলে যাওয়া ভাস্করকে দেখে অবাক মজিদ
স্ট্র্যাপ-মধ্যরাতের উন্মাদনা ভিডিয়োর তুলে রাখলেন ভাইপো। এত মোটা হলে কী করে, ভাস্করকে দেখে প্রশ্ন মজিদের
EiSamay | Updated:
অর্ঘ্য বন্দ্যোপাধ্যায়
'এত মোটা হয়ে গেলে কী করে? খেলার সময় তো দারুণ চেহারা ছিল তোমার!'
বক্তার নাম মজিদ বিসকার। কথাগুলো বললেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপার অবশ্য এত যুগ পর মজিদকে দেখে অবাক। বলে দিলেন, 'মজিদ কিন্তু ওর চেহারাটা দারুণ রেখেছে। যে অবস্থায় ও ফিরে গিয়েছিল, তার তুলনায় এখনকার মজিদ তো সোনা।'
রবিবার দুপুরে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বন্ধু ভাস্করের সঙ্গে এ ভাবেই আড্ডায় মাতলেন মজিদ। সঙ্গে ছিলেন ইরানি বন্ধু জামশিদ নাসিরিও। তাঁর সঙ্গে ইরানি ভাষাতে গল্পে মেতে ওঠেন মজিদ। ফিরে এসেছিল অজস্র পুরোনো স্মৃতি। ভাস্করের কথায়, 'মনোরঞ্জন-মিহির এমনকী সুব্রতর কথাও বললাম মজিদকে। ও সবাইকে মনে রেখেছে। আর বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, সবার সঙ্গে দেখা হবে কবে? তবে খুব ক্লান্ত ছিল। আমি বলেছি, মঙ্গলবার সবার সঙ্গে আড্ডা হবে।'
সে-ও ছিল এক রাত। ছিল সেই দমদম বিমানবন্দর। প্রায় তিরিশ বছর আগে ওই বিমানবন্দর থেকেই ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন একজন। অসুস্থ, নিঃস্ব, কর্পদকশূন্য হয়ে। ফেলে গিয়েছিলেন কলকাতা ময়দানে কিছু অসাধারণ মুহূর্ত এবং অজস্র বিতর্ক।
সেই মানুষটাই ফিরলেন আবার। তাঁর সেই ফেলে যাওয়া প্রিয় শহরে। আর রাতের কলকাতা নতুন করে বরণ করে নিল তাঁকে। রবিবার ভোর রাতের বিমানবন্দর কেঁপে উঠল 'মজিদ-মজিদ' চিৎকারে। যা দেখে ষাট পার করে ফেলা মজিদ বিসকারও নিশ্চয়ই হতবাক হয়ে ভেবেছেন, এই শহর আজও মনে রেখেছে তাঁকে!
মজিদ বিসকারের সঙ্গে ইরান থেকে এসেছেন তাঁর ভাইপো ও ভাইপোর দুই বন্ধু। কাকাকে নিয়ে এমন মাতামাতি দেখে বিস্মিত ভাইপো ফরিদ রাতের বিমানবন্দরের পুরো ছবি ভিডিয়ো করে রাখলেন। অবস্থা এক সময় এমন হয়ে যায়, মজিদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েও ভিতরে ঢুকে পড়তে বাধ্য হন। তার মধ্যেই সমর্থকদের উদ্দ্যেশে হাত নাড়েন তিনি। পরে অন্য দরজা দিয়ে বার করা হয় মজিদকে। নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচতারা হোটেলে।
সারা রাতের ধকলে প্রচণ্ড ক্লান্ত ছিলেন মজিদ। ঘুমিয়ে ওঠার পর দুপুরের দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বন্ধু জামশিদ ও ভাস্কর। প্রায় ২৫ বছর পর দেখা হল তাঁদের। মজিদ কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার জামশিদের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। সন্ধেয় জামশিদের সঙ্গেই সিসিএফসি ক্লাবে আসেন মজিদ। সেখানে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি কিছু সময় ফুটবলও খেলেন মজিদ। জামশিদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোর মাঝে মজা করে মজিদ বলেন, 'আমি কিন্তু বাংলাও বুঝি।'
তবে প্রিয় ক্লাবে পা দিচ্ছেন আজ বিকেলে। ১২ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামবেন। কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে মজিদকে। মঙ্গলবার সকালে মহামেডান ক্লাবেও মজিদকে নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দিতে চান সাদা-কালো কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে মহামেডানেই বেশি দিন খেলেছিলেন মজিদ। যা শুনে মজিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, 'মহামেডানও আমাকে মনে রেখেছে এখনও?' তিনি আরও বলেন, 'ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রংটা ভুলিনি। কিন্তু এ বার যে জার্সিটা আমায় ইরানে ছবিতে দেখানো বয়েছিল, সেটা দেখে চিনতে পারছিলাম না।'
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে শতবর্ষের উৎসবে মজিদ বিসকারই আকর্ষণের কেন্দ্রে। সেখানে বহু পুরোনো সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হবে তাঁর। মজিদ ফিরে যাবেন পুরোনো দিনে। দেখবেন, তাঁর ফেলে যাওয়া সিংহাসন আজও অটুট রয়েছে!
'এত মোটা হয়ে গেলে কী করে? খেলার সময় তো দারুণ চেহারা ছিল তোমার!'
বক্তার নাম মজিদ বিসকার। কথাগুলো বললেন ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন গোলকিপার অবশ্য এত যুগ পর মজিদকে দেখে অবাক। বলে দিলেন, 'মজিদ কিন্তু ওর চেহারাটা দারুণ রেখেছে। যে অবস্থায় ও ফিরে গিয়েছিল, তার তুলনায় এখনকার মজিদ তো সোনা।'
রবিবার দুপুরে কলকাতার এক পাঁচতারা হোটেলে বন্ধু ভাস্করের সঙ্গে এ ভাবেই আড্ডায় মাতলেন মজিদ। সঙ্গে ছিলেন ইরানি বন্ধু জামশিদ নাসিরিও। তাঁর সঙ্গে ইরানি ভাষাতে গল্পে মেতে ওঠেন মজিদ। ফিরে এসেছিল অজস্র পুরোনো স্মৃতি। ভাস্করের কথায়, 'মনোরঞ্জন-মিহির এমনকী সুব্রতর কথাও বললাম মজিদকে। ও সবাইকে মনে রেখেছে। আর বারবার জিজ্ঞাসা করছিল, সবার সঙ্গে দেখা হবে কবে? তবে খুব ক্লান্ত ছিল। আমি বলেছি, মঙ্গলবার সবার সঙ্গে আড্ডা হবে।'
সে-ও ছিল এক রাত। ছিল সেই দমদম বিমানবন্দর। প্রায় তিরিশ বছর আগে ওই বিমানবন্দর থেকেই ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন একজন। অসুস্থ, নিঃস্ব, কর্পদকশূন্য হয়ে। ফেলে গিয়েছিলেন কলকাতা ময়দানে কিছু অসাধারণ মুহূর্ত এবং অজস্র বিতর্ক।
সেই মানুষটাই ফিরলেন আবার। তাঁর সেই ফেলে যাওয়া প্রিয় শহরে। আর রাতের কলকাতা নতুন করে বরণ করে নিল তাঁকে। রবিবার ভোর রাতের বিমানবন্দর কেঁপে উঠল 'মজিদ-মজিদ' চিৎকারে। যা দেখে ষাট পার করে ফেলা মজিদ বিসকারও নিশ্চয়ই হতবাক হয়ে ভেবেছেন, এই শহর আজও মনে রেখেছে তাঁকে!
মজিদ বিসকারের সঙ্গে ইরান থেকে এসেছেন তাঁর ভাইপো ও ভাইপোর দুই বন্ধু। কাকাকে নিয়ে এমন মাতামাতি দেখে বিস্মিত ভাইপো ফরিদ রাতের বিমানবন্দরের পুরো ছবি ভিডিয়ো করে রাখলেন। অবস্থা এক সময় এমন হয়ে যায়, মজিদ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েও ভিতরে ঢুকে পড়তে বাধ্য হন। তার মধ্যেই সমর্থকদের উদ্দ্যেশে হাত নাড়েন তিনি। পরে অন্য দরজা দিয়ে বার করা হয় মজিদকে। নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচতারা হোটেলে।
সারা রাতের ধকলে প্রচণ্ড ক্লান্ত ছিলেন মজিদ। ঘুমিয়ে ওঠার পর দুপুরের দিকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বন্ধু জামশিদ ও ভাস্কর। প্রায় ২৫ বছর পর দেখা হল তাঁদের। মজিদ কলকাতা ছেড়ে চলে যাওয়ার জামশিদের সঙ্গেও কোনও যোগাযোগ ছিল না তাঁর। সন্ধেয় জামশিদের সঙ্গেই সিসিএফসি ক্লাবে আসেন মজিদ। সেখানে ফুটবলারদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি কিছু সময় ফুটবলও খেলেন মজিদ। জামশিদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোর মাঝে মজা করে মজিদ বলেন, 'আমি কিন্তু বাংলাও বুঝি।'
তবে প্রিয় ক্লাবে পা দিচ্ছেন আজ বিকেলে। ১২ নম্বর জার্সি পরে মাঠে নামবেন। কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও নিয়ে যাওয়া হতে পারে মজিদকে। মঙ্গলবার সকালে মহামেডান ক্লাবেও মজিদকে নিয়ে গিয়ে সংবর্ধনা দিতে চান সাদা-কালো কর্তারা। ইস্টবেঙ্গলের চেয়ে মহামেডানেই বেশি দিন খেলেছিলেন মজিদ। যা শুনে মজিদ সাংবাদিকদের বলেছেন, 'মহামেডানও আমাকে মনে রেখেছে এখনও?' তিনি আরও বলেন, 'ইস্টবেঙ্গলের জার্সির রংটা ভুলিনি। কিন্তু এ বার যে জার্সিটা আমায় ইরানে ছবিতে দেখানো বয়েছিল, সেটা দেখে চিনতে পারছিলাম না।'
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোরে শতবর্ষের উৎসবে মজিদ বিসকারই আকর্ষণের কেন্দ্রে। সেখানে বহু পুরোনো সতীর্থদের সঙ্গে দেখা হবে তাঁর। মজিদ ফিরে যাবেন পুরোনো দিনে। দেখবেন, তাঁর ফেলে যাওয়া সিংহাসন আজও অটুট রয়েছে!
No comments:
Post a Comment