Wednesday, 30 September 2015

Plastic eating worms could save the world

Plastic eating worms could save the world



A tiny worm, which is actually the larva of a beetle, eats Styrofoam and other forms of polystyrene, a Stanford University researcher has found. Microorganisms in the worms' guts biodegrade the plastic in the process. This first ever finding holds out hope for a world that is being swamped by plastic. 

These findings, published studies in Environmental Science and Technology, are co-authored by Wei-Min Wu, a senior research engineer in the Department of Civil and Environmental Engineering at Stanford. 

"Our findings have opened a new door to solve the global plastic pollution problem," Wu said. 

The world produced nearly 300 million tonnes of plastic according to 2013 data published by the Worldwatch Institute. In Europe, 26 percent, or 6.6 million tons, of the post-consumer plastic produced in 2012 was recycled, while 36 percent was incinerated for energy generation. The remaining 38 percent of post-consumer plastics in Europe went to landfills. In the United States, only 9 percent of post-consumer plastic (2.8 million tons) was recycled in 2012. The remaining 32 million tons was discarded. 

The new discovery is the first to provide detailed evidence of bacterial degradation of plastic in an animal's gut. Understanding how bacteria within mealworms carry out this feat could potentially enable new options for safe management of plastic waste. 

"There's a possibility of really important research coming out of bizarre places," said Craig Criddle, a professor of civil and environmental engineering who supervises plastics research by Wu and others at Stanford. "Sometimes, science surprises us. This is a shock." 

In the lab, 100 mealworms ate between 34 and 39 milligrams of Styrofoam - about the weight of a small pill - per day. The worms converted about half of the Styrofoam into carbon dioxide, as they would with any food source. 

Within 24 hours, they excreted the bulk of the remaining plastic as biodegraded fragments that look similar to tiny rabbit droppings. Mealworms fed a steady diet of Styrofoam were as healthy as those eating a normal diet, Wu said, and their waste appeared to be safe to use as soil for crops. 

Researchers, including Wu, have shown in earlier research that waxworms, the larvae of Indian mealmoths, have microorganisms in their guts that can biodegrade polyethylene, a plastic used in filmy products such as trash bags. The new research on mealworms is significant, however, because Styrofoam was thought to have been non-biodegradable and more problematic for the environment. 

Researchers led by Criddle, a senior fellow at the Stanford Woods Institute for the Environment, are collaborating on ongoing studies with the project leader and papers' lead author, Jun Yang of Beihang University in China, and other Chinese researchers. Together, they plan to study whether microorganisms within mealworms and other insects can biodegrade plastics such as polypropylene (used in products ranging from textiles to automotive components), microbeads (tiny bits used as exfoliants) and bioplastics (derived from renewable biomass sources such as corn or biogas methane). 

As part of a "cradle-to-cradle" approach, the researchers will explore the fate of these materials when consumed by small animals, which are, in turn, consumed by other animals.
http://timesofindia.indiatimes.com/Home/Science/Plastic-eating-worms-could-save-the-world/articleshow/49170719.cms?utm_source=facebook.com&utm_medium=referral&utm_campaign=TOI

যখন আমরা ছোট ছিলাম......

যখন আমরা ছোট ছিলাম ।
♡ হাঁত গুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে
নিয়ে বলতাম,
আমার হাঁত নেই ।
♡একটা পেন ছিলো,
যার চার রকম কালি,
আর আমরা তার চারটে বোতাম
একসাথে টেপার চেস্টা করতাম ।
♡দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম,
কেউ এলে চমকে দেবো বলে,
সে আসতে দেরি করছে বলে,
অধৈর্য্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম ।
♡ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি,
চাঁদ টাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে ।
♡সুইচের দু দিকে আঁঙ্গুল চেঁপে অন - অফ
এর মাঝা - মাঝি ব্যালেন্স করার
চেষ্টা করতাম ।
♡দু ফোঁটা জল ফেলে রেস করাতাম,
কোন টা গড়িয়ে আগে নীচে পড়ে ।
♡ইচ্ছা করে ঘুমিয় পড়ার ভান করে
থাকতাম,
যাতে কেউ কোলে তুলে বিছানায়
তুলে দেয় ।
♡বৃষ্টি হলে ছাঁতা না নিয়ে কচু বা
কলা পাতা মাথায় দিয়ে বলতাম,
দ্যাখ জল গায়ে লাগছে না ।
♡তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের
খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিলো,
সেটা হলোঃ স্কুলব্যাগ ।
♡ফলের দানা খেয়ে ফেললে,
দুশ্চিন্তা করতাম,
পেঁটের মধ্যে এবার গাছ হবে ।
♡ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম,
তারপর কি দরকার ভুলে যেতাম ।
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর,
মনে পড়তো মনে আছে ?
যখন আমরা ছোট ছিলাম,
তখন ধৈর্য্য সহ্য হতো না যে কবে বড়
হবো,
আর এখন মনে করি,
কেনো যে বড় হলাম ?
Childhood Was The Best Part Of Our Life.
আমি জানি তুমি এগুলো পড়ছো,
আর তোমার মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে,
ছোট বেলায় সব থেকে বেশী বার
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন টার উত্তর আমি
পেয়েছি অবশেষে,
তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তরঃ আবার ছোট হতে চাই । ।
♡ হাঁত গুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে
নিয়ে বলতাম,
আমার হাঁত নেই ।
♡একটা পেন ছিলো,
যার চার রকম কালি,
আর আমরা তার চারটে বোতাম
একসাথে টেপার চেস্টা করতাম ।
♡দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম,
কেউ এলে চমকে দেবো বলে,
সে আসতে দেরি করছে বলে,
অধৈর্য্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম ।
♡ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি,
চাঁদ টাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে ।
♡সুইচের দু দিকে আঁঙ্গুল চেঁপে অন - অফ
এর মাঝা - মাঝি ব্যালেন্স করার
চেষ্টা করতাম ।
♡দু ফোঁটা জল ফেলে রেস করাতাম,
কোন টা গড়িয়ে আগে নীচে পড়ে ।
♡ইচ্ছা করে ঘুমিয় পড়ার ভান করে
থাকতাম,
যাতে কেউ কোলে তুলে বিছানায়
তুলে দেয় ।
♡বৃষ্টি হলে ছাঁতা না নিয়ে কচু বা
কলা পাতা মাথায় দিয়ে বলতাম,
দ্যাখ জল গায়ে লাগছে না ।
♡তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের
খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিলো,
সেটা হলোঃ স্কুলব্যাগ ।
♡ফলের দানা খেয়ে ফেললে,
দুশ্চিন্তা করতাম,
পেঁটের মধ্যে এবার গাছ হবে ।
♡ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম,
তারপর কি দরকার ভুলে যেতাম ।
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর,
মনে পড়তো মনে আছে ?
যখন আমরা ছোট ছিলাম,
তখন ধৈর্য্য সহ্য হতো না যে কবে বড়
হবো,
আর এখন মনে করি,
কেনো যে বড় হলাম ?
Childhood Was The Best Part Of Our Life.
আমি জানি তুমি এগুলো পড়ছো,
আর তোমার মুখে হাঁসি ফুটে উঠেছে,
ছোট বেলায় সব থেকে বেশী বার
জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন টার উত্তর আমি
পেয়েছি অবশেষে,
তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তরঃ আবার ছোট হতে চাই ।

Tuesday, 29 September 2015

নৌকোডুবির ৪০

নৌকোডুবির ৪০

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০০:৫৫:০০











চল্লিশ বছর পরও মোহনবাগান তাঁবুতে হাহাকার। আফশোস। সেই হারের বদলা  না নিতে পারার যন্ত্রণা।
১৯৭৫-এর ৩০ সেপ্টেম্বরের   ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের কাছে ঐতিহাসিক পাঁচ গোল খাওয়ার লজ্জার কথা উঠলে গঙ্গাপাড়ের
তাঁবুর বিখ্যাত লনে এখনও নেমে আসে অন্ধকার। মাথা নিচু হয়ে যায় রঞ্জিত রায়চৌধুরী, স্বাধীন মল্লিক, আনন্দ বসুদের। যাঁদের বেশির ভাগেরই একশো পঁচিশ বছরের ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ ৫০-৬০ বছরের।
  ‘‘৫-৩ করেছিলাম এক বার। কিন্তু ৫-০ তো হয়নি কখনও। ওটা এখনও ইস্টবেঙ্গলের লোকজন বলে যায়। উত্তর দিতে পারি না। খারাপ লাগে,’’ বিকেলে বয়স্কদের বাগান তাঁবুতে যে বিখ্যাত আড্ডাটা এখনও অক্ষত, সেখানে বসে বলছিলেন ১৯৫৮ সাল থেকে মাঠে আসা রঞ্জিতবাবু।  পাশে বসে স্বাধীনবাবুর মন্তব্য, ‘‘জানি না মৃত্যুর আগে বদলাটা দেখে যেতে পারব কি না। ওটা তো আমাদের কাছে ঐতিহাসিক লজ্জা।’’ এঁরা সবাই নিজেদের মাঠে প্রিয় ক্লাবের হেনস্তা দেখার সাক্ষী ছিলেন সেই কলঙ্কের মঙ্গলবারে।  যন্ত্রণার দিনের যে চল্লিশ বছর পূর্তি হচ্ছে আজ বুধবার, তা-ও খেয়াল রাখেননি কেউ-ই।
বাগান তাঁবুতে ঢোকার মুখে  দু’পাশে যে বেঞ্চগুলো আছে সেখানে নবীন প্রজন্মের বাগান সমর্থকদের ভিড়। যাঁরা ওই ঘটনার কথা শুনেছেন, দেখেননি। বড়দের আড্ডার বিষয় শুনে রাজু-বিপ্লবদের গলাতেও আফশোস। ‘‘ওটা দেখিনি। কিন্তু ডার্বি এলেই ফেসবুকে ওরা খোঁটা দেয় পাঁচ গোলের কথা লিখে। আমরা কি কখনও এর বদলা নিতে পারব না? আবার তো চার গোল হল এ বার।’’
হাহাকার। আফশোস। দুঃখ। গ্নানি। একাকার হয়ে যায় মুহূর্তে।
তা হলে আর হল না! হবে কখনও?
কে বলল হয়নি? প্রশ্ন শুনে ক্ষুব্ধ হন টুটু বসু। যিনি ক্লাব প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর বলেছিলেন বাঙালদের পাঁচ গোল দেওয়ার পর তিনি পদ ছেড়ে দেবেন। সেই টুটু বলে দিলেন, ‘‘আমি তো পাঁচ আঙুল দেখিয়ে বলেছিলাম বাঙালদের পাঁচ গোল দেব। সেটা তো দিয়ে দিয়েছি। যন্ত্রণার তো শেষ হয়ে গিয়েছে। বাঙালদের ওই গর্ব আর নেই।’’ কিন্তু ৫-০ আর ৫-৩ তো এক নয়? সেটা ক্লাবের প্রবীণ সদস্যরা মানলেও টুটুবাবু মানতে নারাজ। মুখে না মানলেও তিনি কিন্তু এখনও প্রেসিডেন্ট ক্লাবের।  হয়তো ৫-০ র আশাতেই ছাড়েননি পদ। 
বাগানের অন্ধকারের উল্টো ছবি লেসলি ক্লডিয়াস সরণির পাশের ক্লাবে।

জয়ের পর ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কোলে কোচ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
টানা ছ’বার কলকাতা লিগ জেতার পর ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে অনেকটাই স্বস্তি। পাঁচ গোলের চার দশক পালনের কোনও অনুষ্ঠানের কথা জানানো হয়নি এখনও। তবে বিভিন্ন ফ্যান ক্লাব সেই গৌরব-কথার প্রচার শুরু করেছে সদর্পে।  
কিন্তু সেই ইতিহাসের কথা তো মনে রাখতে চান না সে দিনের নায়করাই।
পাঁচ গোলের প্রসঙ্গ তুললে মাছি তাড়ানোর ভঙ্গিতে সুভাষ ভৌমিক বলে দিলেন, ‘‘ওই সব পাঁচ-টাচ গোলের কথা ভুলে গেছি। মাদকতা নিয়ে বেঁচে থাকুন সমর্থক আর কর্তারা। ওদের মনে থাকতে পারে। আমার কিছু নেই।’’
দেশের অন্যতম সফল কোচের কথাগুলো আরোপিত মনে হয়। ফুটবলার জীবনের প্রতিটি ঘটনা যাঁর মস্তিষ্কের কোটরে মজুত।
বলে যেতে পারেন নিরন্তর। তিনি এই বিষয় নিয়ে ভাবতেই নারাজ। ৫-০-র সেই দিনে ফুটবলার সুভাষ গোল পাননি। কিন্তু দু’টো গোল করিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তাঁর কোচিং-এ ইস্টবেঙ্গল পাঁচ গোল খেয়েছিল এক বার। তবে সেটা ৫-০ হয়নি। ২০০৯-তে মোহনবাগান ৫-৩ হারিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে।
৫-০-র বদলা ৫-৩ কি না তা নিয়ে তর্কের তুফান উঠেছিল সর্বত্র। চায়ের দোকানে, রকের আড্ডায়। ফেসবুকে, টুইটারে। চার দশক পর পঁচাত্তরের পাঁচ গোলের কথা তুললে মনে হয়, বাগান সমর্থকরা দু’টোকে এক করতে রাজি নন। তাদের আশা পূরণ হয়নি। যন্ত্রণাটা রয়েই গিয়েছে।
গৌরব এবং কলঙ্ক—দু’টোর কোনওটাই নিক্তিতে তুলতে চান না বলেই হয়তো সুভাষ পুরোটাই ‘ভুলে’ গিয়েছেন বা ভুলে যেতে চাইছেন এখন। বারবার বলছিলেন, ‘‘এখন বিশ্ব ফুটবল দেখার পর ওসব পাঁচ-ছয় গোলের কোনও মূল্য নেই। ওটা একটা দিনের ব্যাপার। বরং ইস্টবেঙ্গলের টানা ছয় বার কলকাতা লিগ জেতাটা বড় ব্যাপার।  যত্তোসব বস্তাপচা জিনিস নিয়ে নাড়াচাড়া।’’
কিন্তু নিউ আলিপুরের অভিজাত মহল্লা থেকে সল্টলেকের বিত্তবান এলাকায় গিয়েও চমকে যেতে হয়।  সেই উজ্জ্বল মুহূর্তের উদযাপনের মুখে দাঁড়িয়ে  সুভাষের কোচ প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, ‘‘বিশ্ব ফুটবলে আকছার গোলের বন্যা দেখার পর ওটা এখন অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়।’’ সিরিয়ালের এক  অভিনেতার বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাওয়ার পথে পিকে গড়গড় করে বলে যান সে দিনের সোনালি সত্তর মিনিটে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে তিনি কী করেছিলেন, তাঁর গল্প।  ‘‘আরে বাবা ৫-০ তো একটা ইতিহাস। আমার কোচিং-এ ছাত্ররা  তৈরি করেছিল বলে একট গর্ব এখনও আছে। কিন্তু এখন ওটা নিয়ে  আলোচনার কোনও মানে হয় না।  বার্সেলোনা, চেলসি, ম্যান ইউ, আকছার পাঁচ-ছয় গোল দিচ্ছে, খাচ্ছে। গোল নয়, ট্রফি নিয়ে এখন সবাই মাথা ঘামায়। ’’
এবং কী আশ্চর্য পি-কের সঙ্গে সহমত চুনী গোস্বামীও। আজ আর সেই ৫-০ তাঁকে যন্ত্রণা দেয় না। ‘‘এখনকার আধুনিক ফুটবলের যুগে ওটা অচল আধুলি। ওটা হয়তো দুঃখ দেয়। তবে যন্ত্রণা দেয় না। একটা দিন কি ঘটেছিল, কোন অবস্থায় ঘটেছিল তাঁকে প্রাসঙ্গিক করে তোলার কোনও মানে হয় না,’’ বলে দেন বাগানের ঘরের ছেলে। 
চার দশক আগে ইতিহাস তৈরির দুই কারিগর পিকে-সুভাষ বা তাঁর বিপক্ষ শিবিরের চুনীর দৃষ্টিকোণের সঙ্গে এই প্রজন্মের কট্টর ইস্ট-মোহন সদস্য সমর্থকদের ভাবনা কতটা খাপ খায় তা নিয়ে অবশ্য  প্রশ্ন উঠতেই পারে।
 আড়াই সপ্তাহ আগে কলকাতা ডার্বির দিনের কথাই ধরা যাক। ইস্টবেঙ্গল তখন ৪-০ এগিয়ে। বাগানের স্টপার সঞ্জয় বালমুচু   একটা গোললাইন সেভ করলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে আফশোসের যে সুনামি উঠেছিল তা কোরিয়ান ডু ডং-এর হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্টের সময়ও ওঠেনি। মাঠ থেকে বেরোনোর সময় ইস্টবেঙ্গলের কিছু কর্তা আর সমর্থক দল বেঁধে এসে সাংবাদিকদের কাছে বলে গিয়েছিলেন, ‘‘দাদা কাল অন্তত লিখবেন আবার পাঁচ গোলের হাত থেকে ওরা বাঁচল।’’ যা শোনার পর মনে হয়েছিল, লিওনেল মেসি- রোনাল্ডোরা রান্নাঘরে ঢুকে পড়ার পরও ডার্বি-আবেগ এখনও অম্লান। অমলিন তার ইতিহাসও।
না হলে আজকের প্রজন্মের শিল্টন পাল কেন চার গোল খাওয়ার পর নিজের ডিফেন্ডারদের মাঠেই ডেকে বলবেন, ‘‘ডিফেন্সটা জমাট রাখ। পাঁচ গোল যেন না হয়।’’ সচিন তেন্ডুলকরের টিমের হয়ে আইএসএল খেলতে এখন কেরলে রয়েছেন বাগান অধিনায়ক শিল্টন। পঁচাত্তরে সেই লজ্জার দিনের পর বাগান কিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় মার খাওয়ার ভয়ে তিন মাস লুকিয়ে ছিলেন আত্মীয়দের বাড়িতে। শিল্টনের লুকোতে হয়নি ঠিক। কিন্তু কেরল থেকে ফোনে ভাস্করের উত্তরসূরি বাগান-কিপার বলছিলেন, ‘‘ওটা হলে লজ্জার শেষ থাকত না। পঁচাত্তরে আমার জন্ম হয়নি। ওই লজ্জার দিনের কথা বড়দের মুখে শুনেছি। ফেসবুকে ওই দিনের কাগজ কে যেন ট্যাগ করছিল।  পড়েছিলাম।’’    যা শুনে মনে হয়,  ইস্ট-মোহন চিরকালীন দ্বৈরথের প্রতি ইঞ্চির ইতিহাস নিয়ে এখনও তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন কট্টর সমর্থকরা।
  ইস্টবেঙ্গলের সোনালি যুগের ফুটবল সচিব সুপ্রকাশ গড়গড়ি বা আঠাশ বছর ধরে লাল-হলুদের ম্যানেজার পদ সামলানো স্বপন বল। দু’জনেই চল্লিশ বছর আগে ৫-০ ম্যাচের দিন ছিলেন মোহনবাগান মাঠে। সুপ্রকাশবাবু মুম্বই থেকে ফোনে বললেন, ‘‘ব্রাজিলের সাত গোল খাওয়া মাঠে বসে দেখেছি। কিন্তু এ বারের কলকাতা ডার্বিতে যদি ছ’বার টানা লিগ জেতার সঙ্গে  ৫-০ টাও হত তবে স্বর্গীয় সুখ পেতাম।’’ আর স্বপনবাবু? ‘‘প্রচুর ম্যাচ রিজার্ভ বেঞ্চে বসে পাঁচ-সাত গোলে জিততে দেখেছি টিমকে। ওদের হারানোটা আমার কাছে ধর্মপালনের মতো।  আর পাঁচ গোল? ওরা তো ৫-৩ গোলে জিতে বলেছিল সমান-সমান। সে দিনই আসলে আমাদের ৫-০ টা ফের প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছিল।’’ বলে দেন ওই ইস্টবেঙ্গল কর্তা।
এটা ঘটনা যে ডার্বির নব্বই বছরের ইতিহাসে গোলের নিরিখে পঁচাত্তরের শিল্ডের ওই ম্যাচকে এখনও সেরা স্কোর বলে সাজিয়ে রেখেছে উইকিপিডিয়া। ডার্বিতে কোনও ম্যাচ ৩-০ গড়ালেই কোনও এক দল সমর্থক আওয়াজ তোলেন ফের ৫-০ চাই অথবা বদলা চাই। হতে পারে সেটা আবেগের গামলায় ডুবে থাকা সদস্য-সমর্থকদের নির্মল তৃপ্তির উপাদান। হতে পারে উত্তেজনা-বিস্ফোরণের অন্যতম মাদকতা। হতে পারে সেটা ইতিহাস নিয়ে বাঙালির চিরকালীন মত্ততার একটা ধারাবাহিকতা— কিন্তু মানতেই হবে পঁচাত্তরের পাঁচ গোলের কথা এখনও বাংলার ঘরে ঘরে অনুরণিত হয়। আনন্দ দেয়, দুঃখ দেয়। 
১৯৭৫-এর অক্টোবরের প্রথম দিন আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় দু’টো ছবি বেরিয়েছিল। তাঁর একটা দেখলে ব়়ড্ড নির্মম লাগে এখনও। চার গোল খাওয়ার পর ভেঙে পড়া তরুণ বাগান কিপার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে টেনে তুলছেন সিনিয়র সুব্রত ভট্টাচার্য। পাশের ম্যাচ রিপোর্টে স্টাফ
রিপোর্টার শুরু করেছেন এই ভাবে, ‘‘বুদ্ধিতে যার ব্যাখ্যা চলে না সেই ফলে চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে পরাজিত করে….’’
চল্লিশ বছর পর সেই দিনের উদযাপন মুহূর্তে এসে লিখতে হচ্ছে, ফুটবল বিশ্বায়নের এই যুগেও কলকাতা ডার্বি এখনও মেসি-রোনাল্ডোদের গোলার্ধে ঢুকতে পারেনি। বুদ্ধিতে যে আবেগের  সত্যিই ব্যাখ্যা চলে না।


http://www.anandabazar.com/supplementary/anandaplus/40th-anniversary-celebration-of-historical-five-goal-wining-by-east-bengal-against-mohunbagan-1.215726

সেপ্টেম্বরাইটিস

সেপ্টেম্বরাইটিস

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০০:০০:০০










সেপ্টেম্বরাইটিস! এ রোগের কোনও ওষুধ বেরোয়নি আজ পর্যন্ত। সেপ্টেম্বরে ইস্টবেঙ্গলের মুখে পড়লেই কাঁপতে কাঁপতে চার-পাঁচটা গোল খেয়ে কচুকাটা হওয়া। ১৯৩৬... ১৯৭৫...২০১৫। প্রথমটা অবশ্য সেপ্টেম্বর ছিল না। যাই হোক, মোটামুটি একটা ক্রমপর্যায় ঠিক হয়ে গেছে—চল্লিশ বছর অন্তর। ২০৫৫-র সেপ্টেম্বরে ইস্টবেঙ্গল আবার হারাবে মোহনবাগানকে। চার-শূন্য না পাঁচ-শূন্য? একটু চেষ্টা করলে ৬ তারিখেই আর গোটা দু’য়েক গোল খাওয়া যেত। ভূতের রাজার কাছ থেকে যদি একটা বরই ম্যানেজ করা যেত: ৩১ অগস্ট হাততালি দিয়ে ডোন্ট কাম সেপ্টেম্বর, বললেই দুনিয়ার সমস্ত ক্যালেন্ডারে অক্টোবর চলে আসবে।
দশ বছর বয়স থেকে মোহনবাগান সাপোর্টার। ছেচল্লিশ বছর ধরে মেম্বার। আর পারা যায় না। ফেল  করা ছাত্রকে বন্ধুর স্তোকবাক্য ‘দুঃখ করিস না, ফেলিওর্স আর দ্য পিলার্স অব সাকসেস’ শুনে ছাত্রটির সুরসিকা মা বলেছিলেন, ‘আর পিলারে দরকার নেই বাবা, অনেকগুলো তো হয়ে গেল।’ মোহনবাগানেরও তাই।
পঁচাত্তরে শিল্ড ফাইনাল দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল। চুনী গোস্বামী, প্রদীপ চৌধুরীকে হিংসে করি, ওঁরা সে দিন মাঠে ছিলেন না। এখনও চোখের সামনে ভাসে মোহনবাগান গ্যালারির উদ্দেশে পাঁচ আঙুল দেখিয়ে প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীরব আস্ফালন আর মোহনবাগান-ফেরত সুভাষ ভৌমিকের সেই হাত নেড়ে বিধ্বস্ত মোহনবাগান  টিমটাকে গোল করতে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া। হ্যাঁ, ওই খেলার জেরেই চাকরি খোয়াই, তবে সে প্রসঙ্গ অন্যত্র।
এখন যেটা বলছি, তা হল সে দিন পাঁচ গোল দিয়েও এত কলরব, এত নাচানাচি করেনি ইস্টবেঙ্গলিরা। কেমন যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিল গোলগুলো ফটাফট করে ফেলে। খানিকটা ‘স্বপ্নো নু মায়া নু মতিভ্রমো নু’- গোছের অবস্থা আর কী। কিন্তু এ বারের চার গোলের লিগের জয়টা নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি রকমের আদিখ্যেতা হয়েছে। অবশ্যই মিডিয়ার কল্যাণে। অভাগা যে দিকে চায়, লাল-হলুদ দেখিতে পায়। রঙিন ছবি, পরিসংখ্যানের ছড়াছড়ি সর্বত্র। সাক্ষাৎকারেরও। হিরো ওয়ারশিপ। এ সব চলল পুজো অবধি। মোহনবাগান (অমল দত্তের ম্যাচটা বাদে) একটাও গোল করতে পারে না। ব্রাজিল সাত খানা খেয়ে তবু একটা শোধ করেছিল। খোদ ইস্টবেঙ্গলই সোভিয়েত ইউনিয়নে একটা খেলায় তেরোটা হজম করেও একটা ফেরত দিয়েছিল। মোহনবাগান সেটাও পারে না। রবীন্দ্রনাথও তো তাঁর প্রিয় মোহনবাগানকে পাঁচ শূন্যয় হারিয়ে দিয়েছেন: ‘স্মৃতিরত্নমশায় মোহনবাগানের গোলকীপারি ক’রে ক্যালকাটার কাছ থেকে একে একে পাঁচ গোল খেলেন।’ (সে)
কিন্তু পরিসংখ্যানের বন্যায় যে কথাটাকে ভাসিয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, তা হল মিথ্যে তিন রকম— শুধু মিথ্যে, ডাহা মিথ্যে আর পরিসংখ্যান। সাধে কি আর স্যর নেভিল কার্ডাস স্কোরবোর্ডকে ‘গাধা’ বলেছিলেন? পরিসংখ্যানের আড়ালে অদৃশ্য কাহিনিগুলো জানলে মূল্যায়নের সুবিধা হয়। পঁচাত্তরের শিল্ড ফাইনালে অরুণ লাল ঘোষ ভুল করেছিলেন আনকোরা গোলরক্ষক ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে খেলিয়ে— সে কথা আজ বলছেন। নিয়মিত প্রশান্ত মিত্রকে প্রথমে নামাননি। চার গোল খাওয়ার পর... কিন্তু তখন তো অল ইজ ওভার। ম্যানেজার কেষ্ট সেন অনুরোধ করা সত্ত্বেও অভিজ্ঞ শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নামাননি। তেমনই এ বার সঞ্জয় সেন বাধ্য হয়েছিলেন সাতটা নতুন ছেলে নিয়ে দল নামাতে। উপায় ছিল না। শুধু দেহে-মনে বিধ্বস্ত সবুজ-মেরুন সমর্থকরা চাপা পড়ে যাচ্ছে। ডং-এর গোল দু’টো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিল। দ্বিতীয়টার পর টিভি চ্যানেল ঘুরিয়ে ‘স্মৃতিটুকু থাক’ দেখছিলাম।
জানি না, এর মধ্যে আর কেউ উমাকান্ত পালধির পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন কি না। উমাকান্ত পেরেছেন, আমি পারিনি। কিন্তু চল্লিশ বছরের দগদগে ঘায়ে এক বস্তা নুন ঢেলে দিল একদা ১৬/২ ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিট-এর এক বাসিন্দা এবং তার তালিম পাওয়া বাইশ বছর বয়সি কোরীয় ছেলেটা। পঁচাত্তরের বিপর্যয়ের জেরে চাকরি হারিয়েছিলাম। এ বার কী হারিয়েছি? আমি তো এখন এক নির্ভেজাল প্রোলেতারিয়েত, যার দারিদ্র ছাড়া আর কিছু হারাবার নেই।
ঠিক করেছিলাম, মোহনবাগান যত দিন না ইস্টবেঙ্গলকে ৫-০ বা ৬-০ হারাতে পারছে, তত দিন আর মোহনবাগানের কোনও প্রতিযোগিতামূলক খেলা দেখব না। তাই ম্যাচ কভারও করব না।
কিন্তু এই নির্বোধ জেদ নিয়ে তো আর চাকরি করা চলে না। আনন্দবাজারের স্পোর্টস এডিটর তখন খ্যাতনামা সাহিত্যিক মতি নন্দী। তিনি নাছোড়বান্দা—সঙ্গত ভাবেই—আমাকে দিয়ে মোহনবাগান ম্যাচ করাবেনই, আমিও নানা ভাবে ডজ করে বেরিয়ে যাই। এক দিন এই রকম ভাবে আমাকে কী একটা ম্যাচ করতে বলায় মরিয়া হয়ে বললাম, আমার প্রেস কার্ডটা হারিয়ে ফেলেছি, তাই...। ভাবলাম ডুপ্লিকেট কার্ড করাতে করাতে অন্তত সাত-আট দিন তো রেহাই পাব, পরের কথা পরে দেখা যাবে। কিন্তু হা হতোস্মি, অসাধারণ তৎপরতা দেখিয়ে সহকর্মী রূপক (সাহা) নতুন কার্ড বার করে আনল পরের দিনই। বুঝলাম ম্যাচ করতেই হবে। তখন চাকরিটা ছেড়েই দিলাম। এর পর শুরু হয় আমার বেকার জীবন। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে ইংরেজি পড়ানোর ‘ব্যাচ’ বসিয়ে দিলাম। স্বখাত সলিলে সাঁতার কাটা আর কী।
মোহনবাগান সমর্থক হিসেবে পরবর্তী ক’বছরে বারবার মনে হয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি এবং অ্যাথলেটিক্স— সব মিলিয়ে দেখলে মোহনবাগান অনেক অনেক এগিয়ে। কিন্তু এ সব কথা কে শুনছে এই মুহূর্তে? কলকাতা লিগের একটা টু-ইন-ওয়ান জয় দিয়ে আই লিগ জয়কে ঢাকার অপচেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তা কি সম্ভব?
তা হলে একটা বার্তা দিতেই হয় ওঁদের উদ্দেশে: হেক্সা-হেপ্টা-অক্টো-ননা/ যত পারিস কে-লিগ নে না/ আই-লিগ একশো একা/ পারিস যদি জিতে দেখা!
মোহনবাগান সদস্য-সমর্থকরা মাঝে মাঝেই বলেন, বদলা চাই। এ ব্যাপারেও কিন্তু বাস্তবোচিত দৃষ্টিভঙ্গি দরকার। তুমি কথায় কথায় ওদের কাছে ০-৫, ০-৪ হারবে, আর এক বার ৫-৩ করেই উদ্বাহু হয়ে নৃত্য করবে? ০-৫, ০-৪ এর বদলা ৫-০ কী ৪-০ তেই হয়। পারলে, সুদসুদ্ধ একটা করে বেশি দিয়ে। ‘নিল’টা বজায় রাখতে হবে। ২০০৯-র আই লিগের ৫-৩ জয়টা (যাতে চিডি চারটে গোল করেছিল) কোনও ক্রমেই পঁচাত্তরের পাঁচ গোলের শাপমুক্তি নয়।
আর একটা কথা। মোহনবাগানকে ৫-০ বা ৪-০ জিততে ইস্টবেঙ্গল কোনও দিনই দেবে না। মোহনবাগান পুরো ব্রাজিলের বা জার্মানির দল নিয়ে খেললেও পারবে না। কলঙ্কিত পঁচাত্তরে যদি কোনও অধিকারবলে মাঠে থাকতাম— কর্মকর্তা, কোচ বা খেলোয়াড়— তা হলে যে কোনও ছুতোয় খেলাটা ভন্ডুল করতাম।
আরে বাবা, যখন বুঝছিস দিনটা তোদের নয়, দুটো কি তিনটে গোল খাওয়ার পর অ্যাকশন নাও! ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে যদি এতটুকু চিনে থাকি, এটা ঘটবেই।
একটা শুধু ভয় হচ্ছে। এই মওকায় ‘গোষ্ঠ পাল সরণি’টা না আবার ইস্টবেঙ্গল সরণি হয়ে যায়। গোষ্ঠবাবু তো শেষ অবধি ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে বসে থাকতেন। এখনকার মোহনবাগান মাঠে যেতে চাননি। 

http://www.anandabazar.com/supplementary/anandaplus/ex-abp-sports-reporter-and-orthodox-mohunbagan-supporter-recalls-five-goals-horror-1.215720

Monday, 28 September 2015

Here's what you need to know about the Digital India initiative

Here's what you need to know about the Digital India initiative

Monday, 28 September 2015 - 6:26pm IST | Place: Mumbai | Agency: dna webdesk



Several people have changed theirFacebook profile pictures after CEO Mark Zuckerberg and Prime Minister Narendra Modi did so and urged other to follow suit to support the Digital India initiative. But wait--this profile picture change actually ties more closely in to Facebook's own Internet.org strategy, which should not be confused as being congruous with India'sDigital India movement. So merely switching to a tricolour profile picture has, in fact, nothing to do with the Digital India initiative. Lets clear the air and re-look at the tenets that define the Digital India initiative.
Launched by Prime Minister Narendra Modi on July 1, 2015, the Digital India initiativewas started with a view to empower the people of the country digitally. The initiative also aims to bridge India's digital segment and bring big investments in the technology sector.

What is Digital India?

The Digital India initiative seeks to lay emphasis on e-governance and transform India into a digitally empowered society.
The program is projected at Rs 1,13,000 crore which will prepare the country for knowledge-based transformation.
The Department of Electronics and Information Technology (deitY) anticipates that this program will have a huge impact on the Ministry of Communication and IT. 
It is to ensure that government services are available to citizens electronically. 
It will focus on providing high speed internet services to its citizens and make services available in real time for both online and mobile platform.
Digital India also aims to transform ease of doing business in the country.
Modi's government is focussing on providing broadband services in all villages of the country, tele-medicine and mobile healthcare services and making the governance more participative.

Vision of Digital India initiative:

Here is what the government of India aims to achieve through Digital India initiative.
1. Infrastructure: The Digital India initiative has a vision to provide high speed internet services to its citizens in all gram panchayats. Bank accounts will be given priority at individual level. People will be provided with safe and secure cyber space in the country.
2. Governance and services: Government services will be available online where citizens will be ensured easy access to it. Transactions will be made easy through electronic medium.
3. Digital empowerment of citizens: This is one of the most important factor of the Digital India initiative to provide universal digital literacy and make digital sources easily accessible. The services are also provided in Indian languages for active participation.

9 major projects under the initiative:

1. Manufacturing of electronics: The government is focusing on zero imports of electronics. In order to achieve this, the government aims to put up smart energy meters, micro ATMs, mobile, consumer and medical electronics.
2. Provide public access to internet: The government aims to provide internet services to 2.5 lakh villages which comprises of one in every panchayat by March 2017 and 1.5 lakh post offices in the next two years. These post offices will become Multi-Service centres for the people.
3. Highways to have broadband services: Government aims to lay national optical fibre network in all 2.5 lakh gram panchayats. Broadband for the rural will be laid by December 2016 and broadband for all urban will mandate communication infrastructure in new urban development and buildings. By March 2017, the government aims to provide nationwide information infrastructure.
4. Easy access to mobile connectivity: The government is taking steps to ensure that by 2018 all villages are covered through mobile connectivity. The aim is to increase network penetration and cover gaps in all 44,000 villages.
5. e-Governance: The government aims to improve processes and delivery of services through e-Governance with UIDAI, payment gateway, EDI and mobile platforms. School certificates, voter ID cards will be provided online. This aims for a faster examination of data.
6. IT Training for Jobs: The government aims to train around 1 crore students from small towns and villages for IT sector by 2020. Setting up of BPO sectors in North eastern states is also part of the agenda.
7. e-Kranti: This service aims to deliver electronic services to people which deals with health, education, farmers, justice, security and financial inclusion. 
8. Global Information: Hosting data online and engaging social media platforms for governance is the aim of the government. Information is also easily available for the citizens.
MyGov.in is a website launched by the government for a 2-way communication between citizens and the government. People can send in their suggestions and comment on various issues raised by the government, like net neutrality.
9. Early harvest programs: Government plans to set up Wi-fi facilities in all universities across the country. Email will be made the primary mode of communication. Aadhar Enabled Biometric Attendance System will be deployed in all central government offices where recording of attendance will be made online. 

Response to the Digital India initiative from global investors:

Global investors like Sundar Pichai, Satya Nadella, Elon Musk have supported Modi's Digital India initiative.
Microsoft CEO, Satya Nadella intends to become India's partner in the Digital India program. He said that his company will set up low cost broadband technology services to 5 lakh villages across the country. 
Sundar Pichai, CEO, Google said that India will play a big part in driving technology forward in future which will improve people's lives in India. 
Prime Minister Narendra Modi showed keen interest and wanted to use Tesla Motors' power ball technology which will store electricity in a battery for a long term. 
(With Agencies)

http://www.dnaindia.com/money/report-changing-your-facebook-profile-picture-is-not-enough-here-s-all-you-need-to-know-about-the-digital-india-initiative-2129525

Wednesday, 23 September 2015

একজনের কথাই শুনতাম, সিনহাদার

একজনের কথাই শুনতাম, সিনহাদার

কলকাতা বুধবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫


পরিমল দে: আমি একেবারেই ভাল নেই। দু দিন আগে ছোট ভাই পৃথ্বীশ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। আমাদের কিছু করার সুযোগ দেয়নি। সেই যন্ত্রণা ছিলই। তারপর মঙ্গলবার আবার দুঃসংবাদ। আমাকে আবার বিভ্রান্ত করে দিল। সিনহাদা। এই নামেই ডাকতাম। সিনহাদা আর নেই। ছোট ভাইয়ের পর বড়দাও চলে গেলেন। খুব কাছ থেকে দেখেছি। চেনার সুযোগ পেয়েছি। তা থেকে বুঝেছি, ফুটবলার হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও উনি কত ওপরে ছিলেন। খারাপ লাগছে, এই সময়ে সিনহাদার পরিবারের পাশে থাকা উচিৎ ছিল। কিন্তু পারছি না। তাই কষ্ট হচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলে আমি যখন যাই, তখন সিনহাদা গোটা দলের অভিভাবক। পাশাপাশি আমাদের সবার বন্ধুও বটে। যেকোনও সমস্যায় পড়লে ওঁর কাছে যাওয়া যেত। নিজেদের মধ্যে সমস্যা হলে সবার আগে ওঁর কাছে যেতাম। আর কর্তাদের সঙ্গে যদি মতবিরোধ হত, উনি সবার আগে যেতেন আলোচনা করতে। তাই আমরা সবাই ওঁেক ভালবাসতাম, ওঁর ওপর নির্ভর করতাম। সেই সময় আমাদের একটা গ্রুপ ছিল। আমি, শান্ত মিত্র, সুকুমার সমাজপতি, সুভাষ ভৌমিক আর সিনহাদা। যখন ইস্টবেঙ্গলে এসেছি, অনেক কোচকে পেয়েছি। কিন্তু তার মধ্যেও সিনহাদার আলাদা জায়গা ছিল। এমনকী পি কে ব্যানার্জিও ভোকাল টনিক দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝেই সিনহাদাকে দায়িত্ব দিতেন। আমরা ড্রেসিংরুমে একজনের কথাই শুনতাম, সিনহাদার। একজন ফুটবলারের কাছে ড্রেসিংরুমের আলাদা তাৎপর্য থাকে। ড্রেসিংরুমটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। সেটার পরিবেশ হালকা, সহজ রাখতেন সিনহাদা। মাঠের ভেতরের সমস্যা তাই মিটিয়ে দিতেন ড্রেসিংরুমে। কত বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছি। সেই সময় সিনহাদা বুক দিয়ে আগলে রাখতেন। আমাদের ওরকম দুর্ধর্ষ দল থাকলেও খেলায় হার–জিৎ থাকতই। স্বাভাবিক ভাবেই আমাদেরও হারতে হয়েছে। আর ভাল দল বলে হারের যন্ত্রণাটা আরও বেশি ছিল। ওই সময়গুলোয় মানসিক ভাবে আমাদের চাঙ্গা করতেন। বলতেন, যাদের বউ আছে, তারা বউয়ের কাছে চলে যাও, যাদের বউ নেই, তারা বান্ধবীর কাছে চলে যাও। কোনও চাপ রেখ না। নিজেকে হালকা রাখ। জানি না, আজ হালকা হওয়ার জন্য কার কাছে যাব।

http://aajkaal.in/sports/%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%87-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%B9%E0%A6%BE/

সত্যিকারের কমপ্লিট ফুটবলার ছিল প্রশান্ত

সত্যিকারের কমপ্লিট ফুটবলার ছিল প্রশান্ত

চুনী গোস্বামী

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৩:১২:১০













বন্ধুমহলে গেট টুগেদার হলে আর শুনতে পাব না, ‘‘আপনাকে ধরে রাখাটাই তো আমার কাজ।’’
ফুটবলার জীবনে মাঠে, আর খেলা ছাড়ার পর কানের পাশে যে মানুষটা টুক করে এই কথাটা বলে শিশুর মতো নির্মল হাসিমুখ নিয়ে সামনে দাঁড়াত সেই প্রশান্ত সিংহ আর নেই।
মঙ্গলবার সন্ধেয় যখন দুঃসংবাদটা পেলাম তখন আমার যোধপুর পার্কের বাড়ির জানলা দিয়ে দেখলাম অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছে। মনে হল সদাহাস্য, অজাতশত্রু প্রশান্তর প্রয়াণে প্রকৃতিও অশ্রুপাত করছে।
সপ্তাহটাই ভীষণ খারাপ যাচ্ছে। শুরু হয়েছিল বন্ধুবর জগমোহন ডালমিয়ার মৃত্যু সংবাদে। সোমবার দুপুরে সিএবিতে প্রয়াত ডালমিয়াকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে বাড়ি ফেরার সময় সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করেছিলাম পরিচিত সকলকে সুস্থ রাখতে। কিন্তু সেই প্রার্থনা তিনি শুনলেন কই! পরের দিনই কেড়ে নিলেন আমার অনুজ সহযোদ্ধা প্রশান্তকে।
ছয়ের দশকে যখন চুটিয়ে মোহনবাগানে খেলছি তখন ময়দানে রেলের ‘থ্রি পি’-র কথা খুব শুনতাম। প্রদীপ-প্রদ্যোৎ-প্রশান্ত। অ্যাটাক, গোলকিপিং আর মাঝমাঠে তিন জনই নিজের দিনে দেশের সেরা।
বাঘাদার ছাত্র ছিল প্রশান্ত। ও যে কতটা টাফ প্রতিপক্ষ সেটা ও যখন রেল টিমে খেলত তখন থেকেই ওদের বিরুদ্ধে ম্যাচে টের পেতাম আমি। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে এই ছেলেটার খেলায় কী এমন বাহার আছে? কিন্তু যে ওর সঙ্গে বা ওর বিরুদ্ধে খেলেছে সে জানে প্রশান্তর নিখুঁত ট্যাকল, অক্লান্ত পরিশ্রম, দ্রুত জায়গা নেওয়া, গোটা মাঠ দৌড়ে বিপক্ষকে কী রকম নাস্তানাবুদ করতে পারত। তার চেয়েও মজার, রেলে যখন খেলত তখন ছিল লেফট আউট। তার পর কখনও ইনসাইড ফরোয়ার্ড, কখনও মাঝমাঠ আর শিল্ড ফাইনালে পাস ক্লাবের বিরুদ্ধে তো ওকে স্টপারেও দাপটে খেলতে দেখেছি। এক জন কমপ্লিট ফুটবলার বলতে যা বোঝায় আমার কাছে প্রশান্ত সিংহ ছিল সেটাই।
ক্লাব ফুটবলে কখনও আমার সঙ্গে খেলেনি। সব সময় ও ইস্টবেঙ্গলে। আমি মোহনবাগানে। কিন্তু তাতেও দু’জনের সুসম্পর্ক এক দিনের জন্যও নষ্ট খায়নি। তবে মাঠের ভেতর ও একদম অন্য মানুষ। তখন কাউকে ছাড়ত না। আজ জীবনের সায়াহ্নে এসে বলতে আমার দ্বিধা নেই, প্রশান্তর ট্যাকল টপকানো আমার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার ছিল। পাহাড়ের মতো পাঁচিল তুলে দাঁড়িয়ে পড়ত সামনে। বহু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচে ওর বিরুদ্ধে খেলেছি। কখনই আমাকে ও এক হাতের বেশি দূরে রাখত না। ছিনে জোঁকের মতো গায়ে লেগে থাকত।
আমি কখনওসখনও মজা করে বলতাম, ‘‘খেলা তো অন্য দিকে চলছে। এখন আমার গায়ে লেগে থেকে কী করবি?’’ এখনকার দিনে প্রতিপক্ষ এ ধরনের কথা বললে মাঠে দু’দলে হাতাহাতি হতে পর্যন্তও দেখি। অথচ প্রশান্ত আমার টিপ্পনিতে এক দিনও রাগেনি। বরং সেই শিশুর মতো নির্মল হাসি মুখে ঝুলিয়ে যেটা বলত আজও কানে বাজে সেই কথাটা —আপনাকে ধরে রাখাটাই তো আমার কাজ। এখানে বলে রাখি, ও বরাবর আমাকে আপনি বলত।
মাঠে প্রশান্তর নাছোড় মনোভাবের জন্যই জাকার্তা এশিয়ান গেমসে অধিনায়ক চুনী গোস্বামীর কাছে ও ছিল একটা লুকোনো তাস। সেমিফাইনালের আগের সকালটা তিপান্ন বছর পরেও আজ মনে পড়ছে। গ্রুপ লিগে সব ম্যাচ রামবাহাদুর খেলেছিল। কিন্তু মাঝমাঠে আমাদের ট্যাকলটা ঠিক মতো হচ্ছিল না। তাই সেমিফাইনালে দক্ষিণ ভিয়েতনামের বিরুদ্ধে নামার আগে রহিম সাহেবকে গিয়ে বললাম, ‘‘রামবাহাদুর পাস বাড়াবে সেটা ঠিক। কিন্তু আমরা গোল করার পর সেই গোল তো রাখতেও হবে। আপনি দয়া করে প্রশান্তকে খেলান রামবাহাদুরের জায়গায়।’’ নিজের ছেলের মতো আমাকে ভালবাসতেন উনি। আমাকে সে দিন সমর্থন করেছিল প্রদীপও। রহিম সাহেব সব যুক্তি শুনে বললেন, ‘‘ঠিক আছে। তোমার প্লেয়ারই খেলবে।’’
তার পর সেমিফাইনাল আর ফাইনালে প্রশান্ত কী খেলাটা খেলেছিল তা আজও ভারতীয় ফুটবলে ইতিহাস। ফাইনালে ওর ট্যাকলে কোরিয়ানদের পা সরিয়ে নিতেও দেখেছি।
এশিয়াড সোনা জেতার দিনটা কোনও দিন ভুলব না। ৪ সেপ্টেম্বর। কে জানত সেই চিরস্মরণীয় সাফল্যের মাসেই আমাকে প্রিয় এক সহযোদ্ধাকে হারাতে হবে! মাসখানেক আগে ওকে বাড়িতে দেখতে গিয়েছিলাম। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তবু ক্যাপ্টেনের হাতটা শক্ত করে ধরে সেই নির্মল হাসিটা যন্ত্রণার মধ্যেও মুখে ঝুলিয়ে রেখেছিল সারাক্ষণ। এটাই প্রশান্ত সিংহ। ফুটবলটা ওর কাছে শুধু খেলা ছিল না। ধর্মও বটে।
প্রশান্ত তুমি যেখানেই থাকো শান্তিতে থেকো। ভালবাসার মানুষের মৃত্যু হয় না কি! 

http://www.anandabazar.com/khela/%E0%A6%B8%E0%A6%A4-%E0%A6%AF-%E0%A6%95-%E0%A6%B0-%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%AE%E0%A6%AA-%E0%A6%B2-%E0%A6%9F-%E0%A6%AB-%E0%A6%9F%E0%A6%AC%E0%A6%B2-%E0%A6%B0-%E0%A6%9B-%E0%A6%B2-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0%E0%A6%B6-%E0%A6%A8-%E0%A6%A4-1.212535# 


Saturday, 19 September 2015

Netaji and India’s dictatorship urge

Netaji and India’s dictatorship urge

September 19, 2015, 12:11 PM IST  in Academic Interest |
Did Shah Jahan want to build a black Taj Mahal? Did Lal Bahadur Shastri really die of a heart attack in Tashkent in 1965? Does the yeti really exist?
Files relating to Indian freedom fighter Netaji Subhas Chandra Bose are displayed at the Police Museum in Kolkata on September 18, 2015. The West Bengal government has declassified 64 files related to Netaji Subhas Chandra Bose, which have been placed in the archives of the Kolkata police museum. AFP PHOTO/Dibyangshu SARKAR        (Photo credit should read DIBYANGSHU SARKAR/AFP/Getty Images)
Files relating to Netaji Subhas Chandra Bose are displayed at the Police Museum in Kolkata  (AFP – Getty images/Dibyangshu Sarkar)
The mystery of Subhas Chandra Bose has been among great unsolved mysteries of India. Mamata Banerjee’s declassification of 64 Netaji files has just made it even more tantalizing. In one bold stroke Didi has got his family on her side, stolen a march over Prime Minister Narendra Modi who had personally promised to look into the matter and re-ignited a decades-old whodunit.
Whether Netaji was a Stalinist prisoner who returned as Gumnani Baba and whether Nehru’s government made a deal on him can only be answered from the files. On 14 December 2014, minister of state for home Haribhai Parthibhai Chaudhary said in a written reply in the Rajya Sabha that 87 top secret Netaji files could not be declassified because they are of “sensitive nature” that could be a problem for “India’s relations with other countries”.
Netaji Subhas Chandra Bose with Mahatma Gandhi in February 1938
Netaji Subhas Chandra Bose with Mahatma Gandhi in February 1938
The Netaji legend has also endured for so long because of what he represented as an alternative future for India — a muscular, “manly” counterpoise to dominance of Gandhian ahimsa and Nehruvian morality that defined the nationalist movement and post-independence India.
There is a reason why stickers of revolutionaries like Bhagat Singh and Chandrashekhar Azad still adorn most trucks and many car-windscreens. While most Indians followed Gandhi, many were equally ashamed at the notion of non-violence that was seen by many nationalist streams as too “effeminate”. Bose and his Indian National Army, in that sense, represented the martial valour of India in service of the nation.
Subhas Chandra Bose (in military uniform) with Motilal Nehru at the Calcutta session of the Indian National Congress in December 1928
Subhas Chandra Bose (in military uniform) with Motilal Nehru at the Calcutta session of the Indian National Congress in December 1928
Netaji loved dressing up like a general (even when he was the head of the Congress) and had dictatorial tendencies.
His 1935 book ‘Indian Struggle’ argued for a political system that was a mix of fascism and communism. In a 1943 speech in Singapore, Bose specifically called for a “iron dictator” who would could rules over India “for 20 years.” “There must be a dictatorship” he argued, “No other constitution can flourish in this country and it is so to India’s good that she shall be ruled by a dictator, to begin with …”
Many middle-class Indians still yearn for a strongman who can cut through the messiness of democracy and deliver governance. Netaji endures because while being a great patriot, he could also have filled in the blanks in that fantasy and for what could have been.

http://blogs.timesofindia.indiatimes.com/academic-interest/netaji-and-indias-dictatorship-urge/?utm_source=facebook.com&utm_medium=referral&utm_campaign=TOI