আপাত-নিরীহ বাড়িটা দেখে আজ আর কিছু বোঝার উপায় নেই। অনুমান করা শক্ত, এফবিআই এই বাড়ির এক বৃদ্ধের প্রতিটি গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখত। এমনকী শেষ বয়সেও, যখন অবসর যাপন করছেন বোন মারিয়ানের কাছে। ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর দিনটি পর্যন্ত শেষ দশটা বছর সেই ‘ট্রু আমেরিকান হিরো’র ঠিকানা ছিল এই বাড়িটাই।
ফিলাডেলফিয়া শহরের ওয়ালনাট স্ট্রিট আর ফিফটিয়েথ স্ট্রিট যেখানে একে অপরকে কেটেকুটে নিজের মতো চলে গিয়েছে, বাড়িটা সেই সমকোণেই বসানো। ঐতিহাসিক এই শহরে পশ্চিমাংশের অন্য পুরনো বাড়িগুলির সঙ্গে দৃশ্যত কোনও তফাত নেই। ঔপনিবেশিক যুগের ইংলিশ এবং স্প্যানিশ স্থাপত্যরীতির মিশেলে তৈরি। ফাঁপা ইটের গাঁথনি। কাঠের দেওয়াল। সাদার্ন পাইন ফ্লোরিং। উঁচু বারান্দা। বড় বড় কাচের জানলা। প্রচুর আলো। চিলেকোঠার স্কাইলাইট ইত্যাদি।
 গরিমা বলতে বাড়ির সামনে পেনসিলভানিয়া হিস্টোরিক্যাল অ্যান্ড মিউজিয়াম কমিশনের তরফে খাড়া করা একটা ফলক। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, এ বাড়ির বাসিন্দা রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলম্বিয়া ল’স্কুলের ছাত্র। প্রথম জীবনে খেলোয়াড়। পরবর্তী জীবনে গায়ক এবং অভিনেতা। সেই সঙ্গে হালকা উল্লেখ রয়েছে, মানুষটির কেরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল রাজনৈতিক সক্রিয়তার কারণে।
 ‘বহুমুখী প্রতিভা’ শব্দবন্ধটি তাঁর নামের পাশে হয়তো সবচেয়ে ঠিকঠাক বিশেষণ। তবে শুধু সেটুকু বললে কিছুই বলা হয় না। এমন মানুষ আমেরিকার ইতিহাসে কমই এসেছেন। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যালেডিক্টোরিয়ান স্টুডেন্টের সম্মান পেয়েছিলেন। কলম্বিয়া আইন স্কুলেও তাই। সুঠাম স্বাস্থ্যের অধিকারী এই মানুষটা ছাত্রজীবনে আমেরিকান ফুটবল টিমের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সদস্য হিসাবে খেলার সুযোগ পান। আবার ব্রডওয়েতে একটানা ২৯৬ রজনী ওথেলোর ভূমিকায় অভিনয় করার রেকর্ডটিও তার পকেটে। গায়ক হিসাবেও খ্যাতি জগৎজোড়া। তারই টুপিতে গ্র্যামি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্টের পালক। হার্লেম রেনেসাঁস-এর অন্যতম পুরোধা। জানতেন কুড়িটিরও বেশি ভাষা।
কিন্তু এমন অজস্র অভিজ্ঞানের পরেও আম বাঙালি তার সঙ্গে কোথায় ‘কানেক্ট’ করবেন, সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এমনকী, কাচের দরজায় তার হাসিমুখের যে ছবিটা এখনও আটকানো রয়েছে, সেটা দেখেও কোনও বাঙালি একবারেই চিনে ফেলবেন, এমনটা আশা করা উচিত হবে না। এর উত্তর, সম্ভবত দু’টি গান। সে কথায় পরে আসা যাবে।
তথ্য মহাসড়কে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই খোঁজ পেয়ে যখন বুঝলাম, এই মানুষটা প্রতিবেশী, বাড়ি থেকে মাত্র কয়েক মিনিট হাঁটলেই তাঁর জীবনের শেষ আবাসে পৌঁছনো যায়, মনটা ছটফট করে উঠল। ফোন করে সে দিনই যাওয়ার কথা ভাবা গেল। নামের অভিঘাত? না কি সেই দু’টো গান!
হয়তো তাই। একটু পিছনে ফিরতে হবে। বিপ্লবজারিত বুকে গণনাট্যের কর্মীরা তখন পশ্চিমবঙ্গের পাড়ায় পাড়ায় গেয়ে বেড়াচ্ছেন ‘ওরা আমাদের গান গাইতে দেয় না’। সত্তর দশকের শেষ দিক থেকেই কখনও বাড়িতে বসে, কখনও রাস্তায় যেতে যেতে গানটা কানে আসত। সেই গানেই ‘পল রোবসন’ নামটা কানে এসেছে বহু বার। তবে তিনি কে, কেনই বা তার নাম উচ্চারিত হচ্ছে বামপন্থীদের গণসঙ্গীতে, সেই বয়সে তা নিয়ে মাথাব্যথা ছিল না। কারণ বামপন্থী আবহাওয়ায় বড় হইনি। তবু এত দিন পরে সেই নামটাই যেন পুরনো আমানতের মতো ফুলেফেঁপে বিশাল আকার নিয়েছে। মনে হল, মানুষটার বাড়ি, তাঁর স্মৃতিজড়িত জিনিসপত্রের সঙ্গে মোলাকাত যেন লাইটহাউসের মতো বিশাল সেই মানুষটার সঙ্গেই দেখা হওয়া।
 একটু খুঁজতে নম্বর পাওয়া গেল। ফোন করতেই এক মহিলা ধরলেন। ভার্নোকা মাইকেল। আমার ইচ্ছের কথা শুনে জানালেন, সে দিন উনি থাকবেন। গেলে দেখা হবে। দুপুরবেলা হাসিমুখে অভ্যর্থনা করলেন ভার্নোকা। আলাপ জমে গেল। এক সময় আবিষ্কার করলাম, আমরা দু’জনেই রোবসনের প্রতিবেশী। তফাত শুধু, আমি তাঁকে কোনও দিন দেখিনি। ভার্নোকার ছোটবেলার অনেকটা সময় কেটেছে ‘আঙ্কল পল’-এর সঙ্গে।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর এ বাড়িতে যখন রোবসন থাকতে আসেন, ভার্নোকারা থাকতেন উল্টো দিকের বাড়িতে । কিন্তু আঙ্কল পল-এর সঙ্গে তার সখ্য ছিল। এমন এক মানুষের সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা, অথচ বন্ধুবান্ধবদের গর্ব করে সে কথা বলতে পারতেন না। কারণ, তখন রোবসন সরকারের বিষনজরে। বস্তুত রোবসনের সঙ্গে তাদের পরিচিতির কথা ভার্নোকার পরিবারের কেউই বাইরে বলতেন না।
কিশোরীবেলার সেই সখ্যই বড় এক দায়িত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছে ভার্নোকাকে। তিনিই এই বাড়ি তথা প্রদর্শশালার কিউরেটর। দোতলা বাড়ির একতলায় বসার ঘর। সিঁড়ির পাশে একটা ছোট অর্গ্যান। সাদা-কালো রিডে রোবসনের স্পর্শ, অতীতের সাদা-কালো ছবির মতোই মৌনমুখর। এ বাড়ির চারপাশে অজস্র ছবি। তার মধ্যে দু’টি ছবিতে চোখ আটকে গেল। একটিতে আলবার্ট আইনস্টাইনের সঙ্গে রোবসন। প্রিন্সটনে তোলা। সে সময় হোটেলে থাকতে পারতেন না বলে আইনস্টাইনের আতিথ্য গ্রহণ করতেন তিনি। বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানীর দরজা  তাঁর জন্য সর্বদাই খোলা ছিল। আর একটিতে রোবসনের কোলে ছোট্ট জ্যাকলিন কেনেডি (আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির স্ত্রী। আততায়ীর গুলিতে মৃত্যুর সময় তাঁর পাশে ছিলেন জ্যাকলিন)।
দোতলায় রোবসনের শোওয়ার ঘর। খাটের পাশে রাখা সে যুগের রকিং চেয়ার, নিতান্ত সাধারণ। তাঁর ব্যবহার করা জিনিসপত্রও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কাপ-ডিশ, ছুরি-চামচ থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত তাঁর গানের রেকর্ড, ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর পেপার কাটিং।
সময়ের ঝাপটায় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া একটি ছবিতে আবিষ্কার করা গেল নগ্ন রোবসনকে। ঈশ্বরের হাতে কোঁদা সেই আবলুস ভাস্কর্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই ভার্নোকা জানান, সারা জীবন অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন। অল্প বয়সে শ্বেতাঙ্গরা কখনও তাঁকে স্ট্রিপটিজও করতে বাধ্য করেছে। মডেলিং করে সেই অপমানের মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিলেন তিনি। 
ভর দুপুরের নিরালায় আলাপ এগোয় স্মৃতিসান্নিধ্যের মাঝখান দিয়ে। বুঝতে পারি, ঠিক যে কারণে গণনাট্যের সদস্যেরা তাঁকে নিজেদের লোক মনে করতেন, প্রাণিত হতেন তাঁর গানে, ঠিক সেই কারণেই আমেরিকা সরকারের মাথাব্যথার কারণ হয়েছিলেন রোবসন। কমিউনিজম। কিন্তু কোনও কমিউনিস্ট দলে তিনি নাম লেখাননি কখনও। বর্ণবৈষম্য আর শোষণের বিরুদ্ধে ছিল তাঁর লড়াই। তবুও। ঠান্ডা যুদ্ধের সেই ম্যাকার্থি-জমানায় মার্কিন সরকার তাঁকে কমিউনিস্টপ্রেমীই ভাবত।
রোবসন রাশিয়া গিয়েছিলেন স্তালিন জমানায়। ১৯৩৪ সালে। রুশ চলচ্চিত্রকার সের্গেই আইজেনস্টাইনের আমন্ত্রণে। রাশিয়ায় পা রেখে রোবসন বলেছিলেন, সেখানে তিনি আর নিগ্রো নন। জীবনে প্রথম বার তিনি একজন মানুষ। সেখানে ভেদাভেদহীন শ্রমিকসমাজ দেখে প্রাণিত হন রোবসন। আর তার দু’বছর পরেই রেকর্ড করবেন দুনিয়া-কাঁপানো গান— ওল’ ম্যান রিভার। সেই গানে শ্রমিকদের যন্ত্রণা, শোষণের কথা ফুটে উঠবে তাঁর ব্যারিটোনে।
সেই ঐতিহাসিক রাশিয়া সফরে তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্ত্রী এসি। কলেজ-জীবনেই যাঁর সঙ্গে পরিচয়, এবং বিয়ে। এক সময় এক অভিনেত্রীকে ঘিরে যাঁর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি। ছিলেন মারি সিটন। যে সিটন জওহরলাল নেহরু এবং সত্যজিৎ রায়েরও জীবনীকার।
ঠিকানা: ফিলাডেলফিয়ার যে বাড়িতে থাকতেন পল রোবসন
যাই হোক, ওল’ ম্যান রিভার-ই সেই দ্বিতীয় গান, যা বাংলার মানুষের সঙ্গে পল রোবসনকে চিরদিন জুড়ে রাখবে। স্কুল-কলেজের দিনগুলোতে ভূপেন হাজারিকার গান মুখে মুখে ফিরত। ‘আমি এক যাযাবর’, ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা’, ‘মানুষ মানুষের জন্য’, ‘বিস্তীর্ণ দু’পারে’, ‘হে দোলা’, ‘আজ জীবন খুঁজে পাবি ছুটে ছুটে আয়’— এমন কত গান। এর মধ্যে ‘বিস্তীর্ণ দু’পারে’-র কথাই এখানে বেশি করে আসবে, কারণ, এই গানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন রোবসন। ‘ওল ম্যান রিভার’ মাথায় রেখেই এই গান রচনা করেছিলেন ভূপেন হাজারিকা। তবে তারও একটা প্রেক্ষাপট রয়েছে। 
কটন কলেজ থেকে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি। সেখানকার পাঠ শেষ করে বৃত্তি নিয়ে ভূপেন হাজারিকা এসেছিলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, গবেষণা করতে। বছর পাঁচেক ছিলেন। এখানেই বিয়ে করেন বল্লভভাই পটেল পরিবারের মেয়ে এবং তাঁর বান্ধবী প্রিয়ম্বদা পটেলকে। শোনা যায়, সে সময় তিনি পল রোবসনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তবে তা নিয়ে দ্বিমত আছে। নিউইয়র্কে বেশ কাছাকাছি ওঁরা থাকতেন, এ কথা সত্য। তবে একটা সাক্ষাৎকারে ভূপেন জানিয়েছিলেন, তিনি সরকারি বৃত্তি নিয়ে আমেরিকা গিয়েছিলেন। রোবসন তখন আমেরিকা সরকারের রোষদৃষ্টিতে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণেই তিনি দেখা করার কথা ভাবেননি। তবে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি রোবসনের গান শুনেছেন। আর সে যুগের আকাশে-বাতাসে ভেসে থাকা বার্তাটুকু নির্ভুলভাবে আত্মস্থ করতে পেরেছিলেন। শিখেছিলেন, গানকে দিনবদলের হাতিয়ার হিসাবে কী ভাবে ব্যবহার করা যায়।
রোবসনের গাওয়া ‘ওল ম্যান রিভার’ (কথা: অস্কার হ্যামারস্টেইন, সুর: জেরোম কার্ন) প্রাণিত করে ভূপেন হাজারিকাকে। দেশে ফিরে তিনি প্রথমে অসমিয়ায় ব্রহ্মপুত্রকে নদকে নিয়ে ‘বুড়া লুই’, পরে বাংলা ও হিন্দিতে  গঙ্গাকে নিয়ে ‘ও গঙ্গা বইছ কেন’ এবং ‘ও গঙ্গা বহতি হো কিঁউ’ গানগুলির জন্ম দেন— ‘ওল ম্যান রিভার’-এর ছায়ায়। মূল গানটি মিসিসিপি নদীকে ঘিরে অসংখ্য আফ্রো-আমেরিকান শ্রমজীবী মানুষের জীবনসংগ্রামকে ঘিরে। শুধু ভূপেন হাজারিকাই নন, পরে রুমা গুহঠাকুরতার নেতৃত্বে ক্যালকাটা ইউথ কয়্যারের শিল্পীদের কণ্ঠেও গানটা খুব শোনা যেত।
গানটার মধ্যে একটা রক্ত গরম করে দেওয়া ব্যাপার ছিল ঠিকই। কিন্তু তখনও গানটার মূল সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা ছিল না। ইমেল ইন্টারনেট, মোবাইল কোথায় তখন! অনেক বড় বয়সে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সৌজন্যে নজরে আসে ‘ওল ম্যান রিভার’ গানটির অস্তিত্ব। সঙ্গীত-নৃত্য মুখরিত সে যুগের থিয়েটার বা বিখ্যাত আমেরিকান মিউজিক্যাল ‘শো বোট’-এ গানটি গেয়েছিলেন পল রোবসন। ১৯২৮ সালে, লন্ডনের রয়্যাল থিয়েটারে। তার পরেও ওই ‘শো বোট’ মঞ্চস্থ করেছেন বাকিংহাম প্যালেসে। পরে সেটি থেকে সিনেমাও হয়েছে। কিন্তু রোবসনের কণ্ঠে সেই গান ১৯৩৬ সালে রেকর্ড হওয়ার পর দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ে। বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।
প্রিন্সটনে জন্ম রোবসনের। গায়ের রংই প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার পথে বাধা হয়েছিল। রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। আমেরিকান ফুটবলে অংশগ্রহণ করলেও সতীর্থদের সঙ্গে সফর করতে পারতেন না ওই একই কারণে। রোবসন মানুষের সমান অধিকারের কথা বলতেন। মনে প্রাণে এক জন আমেরিকান হয়েও জানতেন, তাঁর নিজের দেশে কালো মানুষদের জন্য সমানাধিকার তখনও অনেকটা দূরে। তাঁর বাবা ছিলেন এক পলাতক ক্রীতদাস। তবে গায়ের রং আর কবে কোথায় কোন প্রতিভাকে আটকাতে পেরেছে?
সমানাধিকারের প্রতি তাঁর অনুরাগ ও প্রকাশ্যে তার পক্ষে সওয়াল করার অভিযোগে ১৯৫০ সালে রোবসনের পাসপোর্ট বাতিল করে দেয় আমেরিকা সরকার। বন্ধ হয়ে যায় আমেরিকার বাইরে তাঁর সমস্ত অনুষ্ঠান। হতাশা গ্রাস করে তাঁকে। এই কঠিন সিদ্ধান্তের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেননি তিনি— পাসপোর্ট ফেরত পাওয়ার পরেও। জনতার সরণি থেকে তখনই সরে যান। চলে আসেন ফিলাডেলফিয়ায়।
এই স্মৃতিঘর ছিমছাম, সন্দেহ নেই। তবে প্রত্যাশা ছিল কিছু বেশি। একটি ঘরে দেখলাম, টেবিলের ওপর পর পর ফেলে রাখা হয়েছে বেশ কিছু ছবি। কিছু জিনিসপত্র মনে হয়েছে আরো ভাল করে হয়তো ডিসপ্লে করা যেত। এই ঔদাসীন্যে খারাপ লাগে। ভার্নোকাকে জিগ্গেস করি, এই স্মৃতিরক্ষার জন্য আমেরিকান সরকার সহায়তা করে না আপনাদের? ভার্নোকা অস্বস্তিতে পড়েন। একটু ভেবে বলেন, সংগ্রহশালা সংস্কারের জন্য এককালীন অর্থ তাঁরা পেয়েছেন। তবে অনেক কাজই বাকি রয়েছে অর্থের জন্য।
আমেরিকার কাছ থেকে আরও একটু মর্যাদা প্রাপ্য ছিল বিস্মৃতপ্রায় আমেরিকান হিরোর!

https://www.anandabazar.com/supplementary/rabibashoriyo/paul-robeson-the-story-of-how-an-american-icon-was-driven-to-death-to-be-told-in-film-1.783356?ref=archive-new-stry