চুনীর পায়ে জোঁক লাগাতাম গৌতমকে, বলরামের জন্য পরের পর ট্যাকল
মহাকাব্যিক পঁচিশ বছর। কখনও লাল-হলুদ, কখনও সবুজ-মেরুন। কখনও নীল জার্সির ভারত। পুরনো সেই সাম্রাজ্য বিস্তার আর তার ভাঙাগড়ার রুদ্ধশ্বাস কাহিনি নিয়ে দীর্ঘ এত বছর বাদে অকপট স্বয়ং প্রদীপকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ষোড়শ কিস্তি। বিপক্ষে চুনী-বলরামের সঙ্গে চিমাও। তাঁদের আটকাতে দল বাছলেন ছাত্রদের নিয়ে। কেমন হবে স্ট্র্যাটেজি? কাল্পনিক লড়াইয়েরও রুদ্ধশ্বাস ধারাবিবরণী
অনুলিখন: সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়
৩ জানুয়ারি, ২০১৫, ০০:০৪:০০
মাঠে বলরাম পাশে, এ বারে প্রতিপক্ষ (ইনসেটে অন্য মহা প্রতিপক্ষ চুনী)
ক্রিকেটে এটা একটা খুব সরস আলোচনা!
আমার কোচিং জীবনের মধ্যগগন সত্তর-আশির দশকে কোনও কোনও ক্রিকেটাড্ডায় শুনতাম। ভিভ রিচার্ডসকে ওর সমসাময়িক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পেস ব্যাটারিকে খেলতে হলে ওকে এতটা ভয়ঙ্কর দেখাত কি?
ভিভকে তো কোনও দিন টেস্টে মার্শাল-হোল্ডিং-রবার্টসকে খেলতে হয়নি!
এই যেমন সে দিন আনন্দবাজারেই পড়ছিলাম, জেফ টমসনকে কুইন্সল্যান্ডে সই করানোর সময় গ্রেগ চ্যাপেল মজা করে বলেছিল, ভাই তোমাকে শেফিল্ড শিল্ডে খেলতে হবে না, আমার টিমে তোমায় নেওয়ার পেছনে এটাই প্রধান কারণ!
আমিও যেন কতকটা সে রকমই বলতে পারি। ভারতীয় দলে চুনী-বলরাম জুটির সতীর্থ হিসেবে গোটা জীবনটা কাটাতে পেরেছি ভেবে নিজের ভাগ্যকে ধন্যবাদ দেওয়া যায়!
পরে নিজের দীর্ঘ কোচিং জীবনেও কোনও চুনী-বলরামকে আটকানোর দুঃসহ চিন্তা আমাকে করতে হয়নি!
কিন্তু সেটা হলে কী করতাম আমি?
ধরা যাক সত্তরের দশকে কোনও ম্যাচ হচ্ছে। যেখানে ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের সেরা অ্যাটাকিং জুটি চুনী-বলরাম আমার বিপক্ষ টিমে খেলছে। সঙ্গে আবার দোসর চিমা। আর কোচ হিসেবে আমাকে ওই ভয়ঙ্কর ত্রয়ীকে আটকানোর স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হচ্ছে! তো আমি কী করতাম?
প্রথমেই আমার পছন্দের একটা টিম বেছে নিতাম। নিজের ছাত্রদের থেকে। গোলে তরুণ বসু। চুনী-বলরাম-চিমার বিরুদ্ধে গোলকিপারের দুর্জয় সাহসের চেয়ে বেশি দরকার বুদ্ধিমত্তার। টেকনিক্যাল দক্ষতার চেয়ে বেশি চাই তাৎক্ষণিক রিফ্লেক্স অ্যাকশন। এই দুটোই ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের চেয়ে বেশি ছিল তরুণের।
এই যেমন সে দিন আইএসএল ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন আটলেটিকো দে কলকাতার কিপার বেটে দেখাল বুদ্ধিমত্তা কিংবা রিফ্লেক্স অ্যাকশন কাকে বলে! ওফ! কম করে চারটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছে ওই ম্যাচে। মাইকেল চোপড়ার ছ’গজের বক্সের ভেতর থেকে হাফ-টার্নে নেওয়া শটটা কিকারকে বেটে বাঁ দিকে মারতে প্রলুব্ধ করে সেই দিকে ডাইভ দিয়ে দেখল বল ডান দিকে আসছে! এবং শেষমেশ যখন সেভটা করল, তখন বেটের শরীরটা ডান দিকেই! তরুণও ও রকম চতুর গোলকিপার ছিল।
চুনী-বলরাম-চিমা আটকাতে আমার ডিপ ডিফেন্সে রাখতাম—সুধীর, সুব্রত, মনোরঞ্জন আর শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ওদের পিছনে সুইপার খেলাতাম প্রদীপ চৌধুরীকে।
মাঝমাঠেও চার জন থাকত। সেন্ট্রাল মিডিও খেলাতাম সুদীপ চট্টোপাধ্যায়কে। ডান দিকে গৌতম। বাঁ দিকে প্রসূন। তিন জনের সামনে উইথড্রন ফরোয়ার্ডের চেয়েও বেশি ডিফেন্সিভ স্ক্রিনের ভূমিকায় রাখতাম হাবিবকে। খেলা তৈরির পাশাপাশি হাবিবের যেমন ডিফেন্সিভ কোয়ালিটি ছিল, তেমনি ম্যাচ নিয়ন্ত্রণের অসাধারণ ক্ষমতা।
সামনে কেবল ওয়ান স্ট্রাইকার শ্যাম থাপা। আমার ফর্মেশন হত ১-৪-৩-১-১। খুব ভাল হত ম্যাচটা যদি ইডেনে খেলার সুযোগ পেত আমার টিম। কেননা, বল যেখানে সবচেয়ে ভাল ‘রোল’ করে, সেখানে আমার কোচিংয়ের দল বরাবর সবচেয়ে ভাল পারফর্ম করেছে, এটা আমি নিজের রেকর্ড দেখে বুঝতে পারি।
সল্টলেক স্টেডিয়ামের কার্পেট যে ভাবে কোনও কোনও জায়গায় গুটিয়ে গিয়েছে, তাতে বল ভাল ভাবে গড়ানো তো দূর অস্ত, ফুটবলারের মারাত্মক চোট পাওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা!
ইন্ডিয়া টিমে আমি ডান দিকে খেলতাম বলে চুনীকে রহিম সাহেব লেফট ইনসাইড খেলাতেন। কিন্তু চুনী রাইট ইনসাইড খেলতেই বেশি পছন্দ করত। আমার টিমের বিরুদ্ধে মনে হয় বন্ধুবর আরও বেশি করে ওর প্রিয় পজিশনে খেলতে চাইবে।
সে ক্ষেত্রে বলরাম লেফ্ট ইনসাইড খেলবে আমার দলের সঙ্গে। আর চুনী-বলরামের মাঝে চিমা নিশ্চয়ই সেন্টার ফরোয়ার্ড থাকবে।
পঁচিশ বছরের কোচিং কেরিয়ারে আমি বহু ম্যাচে বিপক্ষ দলের কোনও বিশেষ অ্যাটাকারকে রুখতে তাঁর পেছনে পুলিশ ম্যান লাগিয়েছি। কিংবা ডাবল কভারিং করেছি। কিন্তু চুনী-বলরামের বিরুদ্ধে দু’টো স্ট্র্যাটেজির কোনওটাই কাজে আসবে না আমি নিশ্চিত।
চুনীর ডান পায়ের অনবদ্য ড্রিবলিং। উইথ দ্য বল ভয়ঙ্কর স্পিড। শরীরের মোচড়— এ সব এতটাই বিশ্বমানের যে, একটা পুলিশ ম্যান কিংবা ওয়ান-টু-ওয়ানে একটা/দু’টো কভারিং হেলায় টপকানো কোনও ব্যাপার হবে না ওর কাছে।
বলরাম আবার দু’পায়েই সমান দক্ষতায় আউটসাইড-ইনসাইড ডজ করবে। সঙ্গে দুর্দান্ত বল কন্ট্রোল। নিখুঁত মাপা পাসের তীক্ষ্মতা এতই মারাত্মক যে, ওর পেছনেও পুলিশ ম্যান লাগিয়ে কিংবা ডাবল কভারিং দিয়ে কিস্যু করতে পারতাম না।
বরং নিজের দলের এক বা দু’জন ফুটবলারকে মাঠে অহেতুক খুইয়ে বসব আমি। কারণ তারা না চুনী-বলরামকে ডিফেন্স করতে পারবে, না পারবে নিজের দলের আক্রমণে অংশ নিতে। সোজা কথা, না ঘরকা না ঘাটকা অবস্থা হত আমার টিমের দু’জন প্লেয়ারের। রেফারির কার্ডটার্ড না দেখেও ম্যাচটায় আমার দল কার্যত দাঁড়াত ন’জনে!
এই অবস্থায় চিমা যদি আমার দলের বিরুদ্ধে শু্যটিং জোনে বল পায়, দশ বারের মধ্যে হয়তো আট বার জাল ছিঁড়ে দেবে। চিমা খুব বেশি জায়গা নিয়ে নিজে খেলত না। কিংবা বল নিয়ে অনেকটা জায়গা কভার করতে পারত না। কিন্তু টিমমেটের থেকে ফাইনাল পাসটা বিপক্ষের শু্যটিং জোনে নিজে কোথায় পজিশন নিলে পাবেই সেটা দুর্দান্ত বুঝত। এ ব্যাপারে চিমার অনুমানক্ষমতা অসাধারণ।
ভাবুন এক বার, এ রকম এক জন গোলগেটারের দু’পাশে যদি চুনী-বলরাম থাকে, তা হলে সেই সেন্টার ফরোয়ার্ড কত অসংখ্য গোল উপযোগী পাস পাবে! বার্সেলোনায় মেসি-নেইমারের কাছ থেকে সুয়ারেজের পাওয়া পাসের চেয়ে নিশ্চয়ই খুব একটা কম হবে না। বরঞ্চ বেশিও হতে পারে।
এ বার আসল কথা।
আমার টিমের ডিপ ডিফেন্স-মিডফিল্ডও তো উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়! ওরাও কিন্তু নিজেদের দিনে এক-এক জন দুর্দান্ত পারফর্মার। অপোনেন্টকে তার নিজের ছন্দে খেলতেই দেবে না!
গৌতমকে বলা থাকত, চুনী বল ধরলেই প্রাণপণ তাড়া করতে। প্রচণ্ড স্পিড ছিল গৌতমের। দু’পায়েই ট্যাকল করতে পারত। আরও বড় ব্যাপার, গৌতমের নাছোড় ভাব ঘন জঙ্গলে পায়ে জোঁক ধরার মতো! ছাড়াতে গিয়ে প্রাণান্তকর অবস্থা হয়। জোঁককে টিপে মেরে ফেলার পরেও যেমন দেখা যায়, ব্যাটার মরা মুখটাও তখনও পায়ে কামড়ে আছে, গৌতমের টেনাসিটিও সে রকম!
একই সঙ্গে প্রসূনকে বলা থাকত, সারাক্ষণ চুনীকে বিরক্ত করে যেতে। মানে মাঠে কুকথা বলেটলে বিরক্ত করা নয়। প্রসূনের ফাস্ট ট্যাকল দিয়ে চুনীকে ‘হ্যারাস্’ করার গেমপ্ল্যান নেব আমি।
ক্ষিপ্রতার জুড়ি নেই চিমার, কিন্তু...
যে রকম লড়াই ষাটের দশকে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে চুনী-প্রশান্ত সিনহায় প্রায়শই দেখা যেত। প্রশান্তর প্রচণ্ড দ্রুত ট্যাকল চুনীর বরাবরের অপছন্দ ছিল। প্রসূনেরও লেফ্ট ফুট ট্যাকল যেমন অসাধারণ, তেমনি দ্রুত করত। চুনীর ডান পায়ের চোখধাঁধানো ড্রিবলকে সমস্যায় ফেললেও ফেলতে পারত।
বলরামকে আবার হাবিবকে দিয়ে ধরতাম। ঠিক মার্কার বলতে যা বোঝায় সে ভাবে নয়। একটা ‘চেন অব ট্যাকল’ বরাদ্দ থাকত বলরামের জন্য।
আসলে চুনীর যদিও বা নিজের জোন থেকে বল নিয়ে অনেকটা জায়গা কভার করে আক্রমণ গড়ার ক্ষমতা সামান্য হলেও কম ছিল, বলরামের আবার সেটুকু খামতিও ছিল না খেলায়। ফলে চুনীকে আমি বিপক্ষ কোচ হিসেবে আমার দলের মিডল থার্ড থেকে ডিফেন্সিভ থার্ড—এই অঞ্চলে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতাম। কিন্তু বলরামকে ওর দলের জোন থেকে কড়া নজরে রাখতে হত আমাকে।
অনেকটা কসমস ম্যাচে যে ভাবে পেলেকে আটকানোর গেমপ্ল্যান ছিল আমার সে ভাবে। বলরাম ওর জোনে বল ধরলে প্রথমে হাবিব ওকে ট্যাকলে যাবে। আর বলরাম আমার টিমের জোনে বল ধরলে একে-একে ওকে ট্যাকল করবে সুদীপ। তার পর সুব্রত। সবশেষে ফাইনাল ট্যাকল করবে মনোরঞ্জন।
চুনীকে আবার সুব্রত-মনা ওপরে ট্যাকল করবে। পিছন থেকে ‘হাইন্ড’ ট্যাকলার থাকবে পি চৌধুরী। ওর সেই বিখ্যাত স্লাইডিং ট্যাকল আর তার বিরাট ‘রিচ’ দিয়ে।
চুনী-বলরাম যখন-তখন উইং শাফল্ করতেও ওস্তাদ। সে জন্য আমার দুই সাইড ব্যাক সুধীর-শ্যামলকে নির্দেশ থাকত—নিজেদের মাঝমাঠের ওপর কক্ষনও উঠবি না। আর উঠলেও কোনও সময় দু’জনে একসঙ্গে ওভারল্যাপ করবি না।
শ্যামলের প্রচণ্ড স্পিডে ওঠা-নামার ক্ষমতার পাশাপাশি অ্যাটাকারের শরীরের ভেতর প্রায় ঢুকে ট্যাকল করাটা ছিল অনবদ্য। অকুতোভয় ডিফেন্ডার।
আর সুধীরের তো সেই মাথার ভেতর লুকনো বিখ্যাত ফুটবল-র্যাডার থাকতই। যার কথা আমি এই দীর্ঘ ধারাবাহিকে অনেক বার লিখেছি। পরের মুভে বলটা কোথায় আসবে। ওকে কোথায় পজিশন নিতে হবে। বিপক্ষের কোন অ্যাটাকারটাকে কভার দিতে হবে—এ সব ঘটনা ঘটার আগের সেকেন্ডেই বুঝে ফেলার ঈশ্বরপ্রদত্ত ক্ষমতা ছিল সুধীরের!
তা সত্ত্বেও চুনী-বলরাম অতুলনীয় জুটিকে আটকানো, সেই সঙ্গে চিমার অনবদ্য গোল স্কোরিং ক্ষমতা রোধ করা যথেষ্ট কঠিন হত। সে জন্য আমার দলের ডিপ ডিফেন্স আর মিডফিল্ডারদের মধ্যে কখনও ম্যাক্সিমাম সাত-আট গজের বেশি দূরত্ব থাকতে দিতাম না।
সে ক্ষেত্রে আমার মিডফিল্ডের একটু হাইট-সমস্যা থাকলেও ডিফেন্স সেটা সামলে দিতে পারবে। বিশেষ করে এরিয়াল বল অর্থাৎ হাওয়ায় বলের লড়াইয়ে। সুব্রত, মনা, পি চৌধুরী— তিন জনেই হেডিংয়ে অসাধারণ। তা ছাড়া উল্টো দিকে চিমা আবার হেডিংয়ে খুব ভাল নয়।
সুব্রতর সেখানে অ্যান্টিসিপেশন দারুণ। প্রখর বুদ্ধি। মনোরঞ্জনের ডিফেন্সিভ কোয়ালিটিতে ছিল প্রচণ্ড পাওয়ার আর একশো ভাগ সিওর হয়ে করা ভয়ঙ্কর কড়া ট্যাকল। অপোনেন্টের পা খুলে নেওয়ার মতো!
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সুদীপের ডিফেন্সিভ স্কিল এতটাই ভাল যে, আমার মাঝমাঠে ও একটা বাড়তি ডিপ ডিফেন্ডার হয়ে উঠবে এই ম্যাচে! সুদীপ ছিল কম্পোজ্ড ডিফেন্ডার। হাঁকপাঁক করত না।
তো এই সব কিছু দিয়ে চুনী-বলরাম জুটিকে আটকাতে পারতাম তো পারতাম। আর তাতেও না হলে ‘জয় ভগবান’ বলে নিজের টিমকে ঈশ্বরের হাতে সঁপে দিয়ে সাইডলাইনে টিম বেঞ্চে বসে আমার খেলোয়াড়জীবনের প্রিয়তম দুই সতীর্থের নয়নাভিরাম খেলা উপভোগ করতাম! যতই ওরা এই ম্যাচটায় আমার অপোনেন্ট দলের ফুটবলার হোক না কেন!
তবে ম্যাচটা যে ভাবে হোক গোল না খেয়ে শেষ করার স্ট্র্যাটেজি নিয়ে যে খেলতাম সাফ স্বীকার করছি। কারণ, চুনী-বলরাম জুটি সামলে। চিমার মতো গোলগেটারকে আটকানোর পর আমার টিমের ছেলেদের হয়তো সামান্যই অবকাশ থাকবে পাল্টা আক্রমণের।
ওই যা গুটিকয়েক কাউন্টার অ্যাটাকের সুযোগ আসত, তাতে শ্যামকে অপোনেন্ট পেনাল্টি বক্সে ওয়ান স্ট্রাইকার রেখে আক্রমণে উঠত আমার দল। গৌতম-প্রসূনের মধ্যে কেউ লুজ বল পেলে কখনও তীব্র গতি কখনও বাঁ পায়ের সূক্ষ্ম মোচড়ে সেন্টার ফেলবে চুনী-বলরামের টিমের বক্সে। হাবিবকে ও রকম সময় শ্যামের পাশে নিঃশব্দে উঠে আসার নির্দেশ দেব— উইং থেকে পাঠানো ক্রস শেষ সেকেন্ড পর্যন্ত ফলো কোরো মিঞা!
আচমকা ওয়ান স্ট্রাইকার থেকে জোড়া স্ট্রাইকার হয়ে উঠে যদি আমার টিম ও রকম মুহূর্তে একটা গোল তুলে নিতে পারে, তা হলে তো সোনায় সোহাগা!
নইলে সত্যি বলতে কী ম্যাচটা আমি ড্র রাখতে পারলেই খুশি হব!
শুধু একটাই আশার কথা বলার! চুনী, বলরাম, চিমা—এই মহাতীক্ষ্ম ত্রিশূলের ভয়ঙ্কর আঘাত খাওয়ার সম্ভাবনা যতটা, ম্যাচে মহাত্রয়ীর নিজেদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির আশঙ্কাও হয়তো ততটাই থাকত!
কেন? কারণ, বলরাম বাদে বাকি দুই সুপারস্টারেরই কিছুটা বেশি ইন্ডিভিজুয়াল খেলার প্রবণতা ছিল। সতীর্থ তুলনায় বেশি ভাল স্কোরিং পজিশনে থাকা সত্ত্বেও চুনী বা চিমা হয়তো নিজেরাই গোলে শট নিয়ে বসবে! এ রকম অবস্থায় চুনী-চিমার সঙ্গে বলরামের বোঝাপড়াটা রাতারাতি কতটা জমে উঠত সেটা মোটেও সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়।
চুনী-বলরাম মহাজুটির সঙ্গে যতই চিমার মতো কালো চিতা থাকুক আমার বিপক্ষ দলে, সেই দলে তো কোনও পিকে নামের কোচ থাকত না আর!
http://www.anandabazar.com/supplementary/patrika/%E0%A6%9A-%E0%A6%A8-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA-%E0%A7%9F-%E0%A6%9C-%E0%A6%95-%E0%A6%B2-%E0%A6%97-%E0%A6%A4-%E0%A6%AE-%E0%A6%97-%E0%A6%A4%E0%A6%AE%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%B2%E0%A6%B0-%E0%A6%AE-%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8-%E0%A6%AF-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%9F-%E0%A6%AF-%E0%A6%95%E0%A6%B2-1.101453
No comments:
Post a Comment