Wednesday, 21 October 2015

মহিষাসুরমর্দিনী

‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর। ধরণীর বহিরাকাশে অন্তর্হিত মেঘমালা। প্রকৃতির অন্তরাকাশে জাগরিত জ্যোতির্ময়ী জগন্মাতার আগমনবার্তা। আনন্দময়ী মহামায়ার পদধ্বনি অসীমছন্দে বেজে উঠে রূপলোক ও রসলোকে আনে নবভাবমাধুরীর সঞ্জীবন। তাই আনন্দিতা শ্যামলী মাতৃকার চিন্ময়ীকে মৃন্ময়ীতে আবাহন। আজ চিচ্ছক্তিরূপিণী বিশ্বজননীর শারদশ্রীবিমন্ডিতাপ্রতিমা মন্দিরে মন্দিরে ধ্যানবোধিতা।
সিংহস্থা শশিশেখরা মরকতপ্রেক্ষা চতুর্ভির্ভুজৈঃ।
শঙ্খং চক্রধনুঃশরাংশ্চ দধতী নেত্রৈস্ত্রিভিঃ শোভিতা।।
আমুক্তাঙ্গদহার কঙ্কণরণৎ কাঞ্চীক্কণন্নূপুরা।
দুর্গা দুর্গতিহারিণী ভবতু নো রত্নোল্লসৎকুন্ডলা।। ...’
সকালে শোনা হয়ে গেছে তো? পৃথিবীর ইতিহাসে রেডিওতে সম্প্রচারিত এমন জনপ্রিয় অনুষ্ঠান বিরল। পঁচাশি বছর ধরে চলে আসছে এই ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ অনুষ্ঠান, যা শুরু হয়েছিল ১৯৩১ সালে। সেই গল্পটা শোনো।
আকাশবাণীর (তখন অল ইন্ডিয়া রেডিও, আকাশবাণী নাম হয়নি তখনো) সেই যুগে অনুষ্ঠান প্রযোজকরা প্রতি সপ্তাহে একদিন বিকেলে বসে বসে ঠিক করতেন নতুন অনুষ্ঠান কী শুরু করা যায়। একঘেয়ে অনুষ্ঠান করলে শ্রোতাদের মন জয় করা যাবে কী করে, তাই প্রতি সপ্তাহে নতুন কিছু চাই। বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক প্রেমাঙ্কুর আতর্থী আকাশবাণীর পত্রিকা বেতার জগৎ প্রকাশনা চালু করেছিলেন, তাঁকে সবাই ডাকত বুড়োদা বলে। তিনিও আসতেন সেই আলোচনায়। একদিন তিনি প্রস্তাব করলেন, এই যে এত অনুষ্ঠান করা হচ্ছে, গান হচ্ছে, নাটক হচ্ছে, বাচ্চাদের-মহিলাদের জন্যে প্রোগ্রাম বানানো হচ্ছে, সবই ঠিক আছে, কিন্তু এমন কিছু সৃজনীমূলক অনুষ্ঠান তৈরী করা দরকার যা শ্রোতাদের অন্তস্থলকে নাড়িয়ে দেবে। নৃপেন মজুমদার তখন হেড প্রযোজক, তিনি হেসে বললেন, এই মুষ্টিমেয় কজন দিয়ে আমরা অনুষ্ঠান চালাচ্ছি সকাল থেকে মাঝরাত অবধি, আর আমরা কী করতে পারি?
মনে রাখতে হবে, তখন সমস্ত অনুষ্ঠানই হত লাইভ।
বুড়োদা বললেন, পারবে না কেন? মনে কর, যদি রাত দশটা থেকে সকাল চারটে অবধি রাত্রে-গাওয়া রাগগুলো দিয়ে একটা সারারাত্রব্যাপী অনুষ্ঠান করা যায়, অথবা ধরো একটা বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান যদি ভোর চারটেয় শুরু করা যায়, কিছু লোকের পছন্দ হবে নিশ্চয়, তারা বলবে, ওহ, কী দারুণ আইডিয়া।
নৃপেন মজুমদার বললেন, ঠিক আছে, ভেবে দেখি। বুড়োদা বললেন, এই তো এখানে বাণীদা আছেন, উনি যদি বেদের কিছু স্তোত্র জোগাড় করে আনেন, রাই (রাইচাঁদ বড়াল) যদি তার কিছুতে মোক্ষম সুর বসাতে পারে আর বীরেন যদি স্তোত্রপাঠ করে, কেমন হয়?
বাণীকুমার লেগে পড়লেন কাজে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ নৃপেন মজুমদারকে বললেন, সামনেই পুজো আসছে, পুজোতে আমি এমনিতেই চন্ডীপাঠ করি, যদি ওটাতেই একটা ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর দেওয়া যায়, আর আরও কিছু গানের সঙ্গে পরিবেশন করা যায়, বেশ কিছু লোকের ভাল লাগা উচিত।
সেই প্রস্তাব পাশ কয়ে গেল। এক সপ্তাহের মধ্যে বাণীকুমার কিছু গান লিখে ফেললেন। পন্ডিত হরিশচন্দ্র বালি, রাইচাঁদ বড়াল আর পঙ্কজকুমার মল্লিক তাতে সুর চড়ালেন। পন্ডিতজী সুর দিলেন অখিল বিমানে আর বিমানে বিমানে আলোকের গানে গান দুটোতে। মহম্মদ সাগির খান সুর দিলেন শান্তি দিলে ভরি-তে। নিখিল আজি সকাল-এ সুর দিলেন রাইচাঁদ বড়াল। মাগো তব বিনে, জাগো দুর্গা জাগো দশপ্রহরণধারিণি, তব অচিন্ত্য, শুভ্র শঙ্খরবে, বাজলো তোমার আলোর বেণু আর অন্যান্য গানে সুর দিলেন পঙ্কজকুমার।
সেই সময়কার স্বনামধন্য শিল্পীদের ডাকা হল গানগুলো গাইতে, তাদের রিহার্সাল দেওয়ালেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। বিখ্যাত যন্ত্রশিল্পীরা এলেন সেই অনুষ্ঠানে বাজানোর জন্যে। মুনশি বাজালেন সারেঙ্গী, তার ভাই আলি বাজালেন চেলো। হারমোনিয়ামে ছিলেন খুশি মহম্মদ, বেহালায় অবনী মুখার্জী আর তারকনাথ দে, ম্যান্ডোলিনে সুরেন পাল, গিটারে সুজিত নাথ, এস্রাজে দক্ষিণামোহন ঠাকুর। শান্তি ঘোষ বাজালেন ডাবল বাস। রাইচাঁদ বড়াল নিজে বাজালেন পিয়ানো ও অর্গান। পরে বংশীবাদক গৌর গোস্বামী, হিমাংশু বিশ্বাস, শৈলেন দাস, অনিল দাস ও আরো অনেক যন্ত্রশিল্পীদের সমন্বয় ঘটল সেই অনুষ্ঠানে।
গায়কদের তালিকায় তাবড় শিল্পীরা। পঙ্কজকুমার মল্লিক নিজে তো বটেই, সঙ্গে বিমলভূষণ, কৃষ্ণা ঘোষ, আভাবতী, মানিক মাল, প্রফুল্ল বালা, বীণাপাণি, প্রভাবতী এবং আরো প্রতিষ্ঠিত শিল্পীবৃন্দ। পরে যোগদান করলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, জগন্ময় মিত্র, শৈল দেবী, রাধারাণী, শ্যামল মিত্র, প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখোপাধ্যায়, সুপ্রীতি ঘোষ, শিপ্রা বসু, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপলা সেন, ইলা ঘোষ, সাবিত্রী ঘোষ, ইলা বসু, সুমিত্রা সেন ও আরো বরেণ্য শিল্পীরা।
প্রথমবার যে কী করে পুরো অনুষ্ঠানটা পরিবেশিত হল, সে এক মজার কাহিনী। ঠিক হয়েছিল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ যেই সংস্কৃত শ্লোক পাঠ শুরু করবেন, অমনি বাদ্যযন্ত্রীরা তার সঙ্গে স্বরের উচ্চনীচ অনুসরণ করে উপযুক্ত বাজনা বাজাবেন। তিনি যখন ভাষ্যপাঠ করবেন, তারা সঙ্গত করবেন ব্যাকগ্রাউন্ডে এক একটা শাস্ত্রীয় রাগের গৎ বাজিয়ে। রাইচাঁদ বড়াল সুন্দর করে বুঝিয়ে দিলেন যন্ত্রসঙ্গীতশিল্পীদের। তারা ঘাড় নাড়ল, বুঝেছে।
১৯৩১ সালের মহাদুর্গাষষ্ঠীর ভোর চারটে। শুরু হল আকাশবাণীর প্রভাতী অনুষ্ঠান। লাইভ। সংস্কৃত শ্লোক পাঠ করে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ শুরু করলেন বাংলায় ভাষ্যপাঠ। তার শুরুটা এই রকম – আজ শুভ শারদোৎসব, জলে-স্থলে-প্রকৃতিতে তার আগমনবার্তা, ইত্যাদি। যন্ত্রশিল্পীদের অনেকেই অবাঙালী মুসলমান, তারা বাংলা আর সংস্কৃতর পার্থক্য বুঝতে না পেরে বাজিয়ে যেতে লাগল শ্লোক পাঠ করার সময় যেমন বাজাচ্ছিল তেমনই। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ পাঠের মধ্যেই বুঝলেন, প্ল্যানমাফিক না হলেও এ তো বেশ জমছে। তিনিও ভাষ্যপাঠ করে যেতে লাগলেন স্বর উঁচুনীচু করে, গানে যেমন করা হয়। ভাষ্যের সঙ্গে সঙ্গত দারুণ খাপ খেয়ে গেল। যেমন ভেবে রাখা হয়েছিল, কার্যক্ষেত্রে তেমন হচ্ছে না দেখে রাইচাঁদ, নৃপেন মজুমদার আর পঙ্কজকুমার প্রথমদিকে রেগে গেলেন, কিন্তু তাঁরাও বেশ বুঝতে পারলেন জিনিসটা মোটেই বেখাপ্পা লাগছে না, বরং সুন্দর জমছে। তাঁদের ইঙ্গিতে এরপর বাঙালী যন্ত্রশিল্পীরাও সেই তালে তাল দিতে পুরো জিনিসটা সর্বাঙ্গসুন্দর রূপ পেতে লাগল। দুঘন্টার সেই অনুষ্ঠান শুনে ভোর রাতে জেগে ওঠা আকাশবাণীর শ্রোতারা বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেল। অনুষ্ঠান শেষ হতেই শুরু হল অভিনন্দনপ্রাপ্তির রাশি রাশি চিঠি আর ফোন।
প্রথম দু’বছর এই অনুষ্ঠান হল মহাষষ্ঠীর দিন ভোর চারটে থেকে ছটা অবধি, লাইভ। পরে এটাকে কমিয়ে দেড়ঘন্টার অনুষ্ঠান করা হল। শ্রোতাদের সনির্বন্ধ অনুরোধে পরিবেশনের সময় এগিয়ে এনে মহালয়ার দিন ঠিক করা হল। সম্প্রচারের দিন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ সারারাত থেকে যেতেন আকাশবাণী ভবনে। অন্যান্যদের গাড়ি পাঠিয়ে রাত দুটোর সময় বাড়ি থেকে তুলে আনা হত।
১৯৫৮ সালে প্রথম রেকর্ডিং করে বাজানো প্রোগ্রাম সম্প্রচার হয়। তারপর থেকে এ যাবৎ সেটাই বাজানো হয়ে আসছে। প্রথমদিকে হয় জয়ন্ত চৌধুরী বা কাজী সব্যসাচী এই অনুষ্ঠানের ঘোষণার দায়িত্বে থাকতেন। পরে বহু বছর সেই দায়িত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ।
শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, সারা পৃথিবীর বাঙালীদের কাছে এই অনুষ্ঠান অসম্ভব জনপ্রিয়। ঢাকা সফরে গিয়ে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ অবাক হয়েছিলেন সেখানকার মুসলমান মানুষের কাছেও এর জনপ্রিয়তা দেখে।
আকাশবাণী এই অনুষ্ঠানে বৈচিত্র্য আনতে ১৯৭৬ সালে বাঙালীর হার্টথ্রব উত্তমকুমারকে দিয়ে আর একটি অনুষ্ঠানের সম্প্রচার করেছিল, যার ফল হয়েছিল মারাত্মক। সেই অনুষ্ঠান জনপ্রিয় তো হয়ই নি, শ্রোতাদের সমবেত প্রতিবাদে আকাশবাণীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হয় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ-বাণীকুমার-পঙ্কজকুমার প্রমুখের যুগপৎ প্রচেষ্টার এক অবিনশ্বর সৃষ্টি - মহিষাসুরমর্দিনী-কে।
(বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনী অবলম্বনে)

Monday, 19 October 2015

ফ্রান্স থেকে আসত দেবীর গয়না

ফ্রান্স থেকে আসত দেবীর গয়না
 শুভ্রজিত্ চন্দ্র!

চারদিন আমিষভোগ , নাটমন্দিরে গলা কাঁপত অহীন্দ্র চৌধুরীরজয়ন্ত সাউলোকগাথায় কথিত আছে মত্যে র্‌ এসে মা দুগা র্‌ সাজেন জোড়াসাঁকোর শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতে , অন্নগ্রহণ করেন অভয় মিত্রের বাড়িতে আর উত্সবের গান -বাজনা শোনেন নাকি শোভাবাজার রাজবাড়িতে৷ লোকগাথা হলেও এহেন ঘটনা বাঙালির আভিজাত্যেরই প্রতীক৷ তাই প্রচলিত কথার সত্যতা যাচাই করতে হাজির হলাম শিবকৃষ্ণ দাঁ বাড়িতে৷ যথারীতি শুরু হয়ে গেছে মায়ের সাজের প্রস্ত্ততি৷ বাড়ির অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ অসীমকুমার দাঁ জানালেন , ‘মায়ের এই সাজ প্রথম এসেছিল বিদেশ থেকে৷ পূব র্‌পুরুষদের আমলে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সঙ্গে রেষারেষি চলত আমাদের পুজোর৷ তখনই প্রথম ফ্রান্স থেকে মায়ের গয়নার সাজ ডাকে আনানো হয়৷ ডাকে এসেছিল বলে একে বলা হত ডাকের সাজ , আর সেই থেকেই ‘ডাকের সাজ ’ কথার প্রচলন৷ মায়ের গায়ের গয়নাই শুধু নয় , চালচিত্রের নকশার কাজও তখন ছিল সোনার , পরে তা বদলে এক ধরনের বিশেষ ধাতুর কাজ করা হয় যা আনা হয়েছিল ফ্রান্স এবং জামা র্‌নি থেকে৷ পঞ্চমীর রাতেই মাথায় মুকুট , গলায় সাতনরি হার , চিক , বাজুবন্ধ , কোমরবন্ধে সেজে ওঠেন মা৷ প্রস্ত্ততি হয় দেবীর বোধনের!
কুমোরটুলির অভয় মিত্রের বাড়ির কথা লোকগাথায় প্রচলিত থাকলেও আজ আর তার কোনও অস্তিত্বই নেই৷ মায়ের সেই প্রচলিত অন্নভোগ আজ হয় কলকাতার চোরবাগানের চ্যাটাজি র্‌ বাড়িতে৷ শুধু অন্নভোগই নয় , একমাত্র এই চ্যাটাজি র্‌রাই মাকে নিবেদন করেন আমিষভোগ৷ পুজোর তিনদিন বাড়ির ছেলেরাই নিজে হাতে ভোগ রান্না করেন , রান্নার শেষে নিজেরাই তা বেড়ে রমন চট্টোপাধ্যায় জানালেন , সন্তমীর দিন মাকে নিবেদন করা হয় খিচুড়ি , পাঁচ ভাজা , একটা মাছ ভাজা , চাটনি , পায়েস৷ এর পর আরম্ভ হয় ছত্রভোগ৷ তাতে থাকে অন্ন , শুক্তো , এক একদিন এক এক রকমের ডাল , আলু পটলের অথবা তেঁতুলের চাটনি , পায়েস , ঘরে তৈরি ল্যাংচা , বোঁদে৷ অষ্টমীর দিন খিচুড়ি , পাঁচ ভাজা , লাউ -চিংড়ি , মাছের অম্বল , পায়েস৷ নবমীতে ভোগ হয় খিচুড়ি , পাঁচ ভাজা , মাছের ঝাল , চাটনি , পায়েস৷ অন্নভোগে দেওয়া হয় অন্ন , শুক্তো , শাকের ঘণ্ট, ডাল , তরকারি , পাশে র্‌ মাছ ভাজা , পোলাও , ভেটকি মাছের ঘণ্ট, চিংড়ির মালাইকারি , চাটনি , পায়েস , দই , মিষ্টি৷ সন্ধি পুজোয় লুচি , ভাজা আর মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয় মাকে৷ দশমীতে অরন্ধন৷ তাই নবমীর রাতেই তৈরি হয় ভাত , পুঁইশাকের ছ্যাঁচড়া , মুসুর ডাল , চালকুমড়ো , ইলিশ মাছের টক , পায়েস৷ সাজ হল , ভোগ হল , বাকি রইল মায়ের আনন্দ উত্সবের পালা৷ পলাশির যুদ্ধ জয়ের পর রাজা নবকৃষ্ণ দেব সুতানুটির এই রাজবাড়িতেই যুদ্ধজয়ের উত্সব পালনের জন্য আয়োজন করেন দুগা র্‌পুজোর৷ সেটিই কলকাতায় দুগা র্‌পুজোর সূচনাও বটে!
শোভাবাজার রাজবাড়ির বর্ষীয়ান সদস্য রথীন্দ্রনাথ দেব বাড়ির লম্বা দালানে বসে বললেন , ‘সামনের এই উঠোনে পুজোর একমাস ধরে চলত যাত্রা , পালা গান , কবির লড়াই , খেউড়৷ লড র্‌ কাজ র্‌ন , ওয়ারেন হেস্টিংস , কোম্পানির বড় বড় কর্তারা ছিলেন আমাদের বিশেষ অতিথি , তাই তাঁদের জন্য থাকতো বাইজি নাচের ব্যবস্থা৷ আমরা ছোটবেলায় দেখেছি থিয়েটার , শাজাহান , সিরাজদৌল্লা , মজি র্‌না -আবদাল্লা , আলিবাবা৷ তিনি দিন ধরে রাতভর চলত নাচ -গান যাত্রা৷ মাঝরাতে যখন অনেকেই আর সুস্থ থাকতেন না৷ নাটক শেষ হয়ে গেলে ‘এনকোর ’ বলে চেঁচাতেন৷ পদা র্‌ পড়ে গিয়ে আবার শুরু করা মজি র্‌নার গান , ‘ছিছি এত্তা জঞ্জাল ’৷ আজও চোখে ভাসে অহীন্দ্র চৌধুরীর শাজাহানের সেই হাত কাঁপানো দৃশ্য৷ ’ বৃদ্ধ নিমেষেই হারিয়ে যান অতীতের সেই গৌরবময় সেজে উঠছে শোভাবাজার রাজবাড়ি

Ei Samay 19-10-2015

কষ্ট সয়েও পটচিত্র কথার ঐতিহ্যআগলে রাখছেন লাল্টু-সালেমারা

কষ্ট সয়েও পটচিত্র কথার ঐতিহ্যআগলে রাখছেন লাল্টু-সালেমারা

হেমাভ সেনগুন্ত ■ সিউড়ি‘
রুপোর খাটে পা গৌরীর , সোনার খাটে গা ,শাঁখা পড়েছে দেখগো , কাতি র্‌ক-গণেশের মা ’লাঠির আগায় ঘুরছে পটচিত্র৷ যত উঠছে , ততই সালেমা চিত্রকরের গলার জাদুতে বিস্তার হচ্ছে কাহিনির৷ দেবাদিদেব মহাদেব শাঁখা পরার সাধ পূরণ করেননি বলে রাগ করে বাপের বাড়ি চলেছেন দেবী গৌরী৷ তাঁর স্বামীগৃহ ত্যাগে অমঙ্গলের ছায়া কৈলাসে৷ সুর করে শোনাচ্ছেন সালেমা , ‘মাথার উপর কালো বরণের প্যাঁচা , বিনা মেঘে হবে বষ র্‌ণ , রক্ত পড়বে ন্যাচা ন্যাচা৷ ’ স্থান -কাল ভেদে অনেক সময় গাইতে গাইতে গানের শব্দ বদলে ফেলেন সালেমা৷ পটচিত্র কথার অন্যতম স্রষ্টা তিনি ও তাঁর স্বামী লাল্টু চিত্রকর৷ এমন অনেকে আছেন সিউড়ি শহর থেকে কিছুটা দূরের গ্রাম ইটাগড়িয়ায়!
বংশপরম্পরায় পটচিত্রের সঙ্গে কথকতার ডালি নিয়ে গ্রামের পথেঘাটে ঘুরে বেড়ানোই তাঁদের নেশা -পেশা৷ পুজো এলে পুরাণ ও লোকশ্রীত কাহিনি অবলম্বনে আঁকা ছবি আর নিজেদের সুরে গান বেঁধে পয়সা রোজগার করেন এঁরা৷ তাঁদের হাত ও গলার জাদুতে বেঁচে থাকে পুরাণের নানা কাহিনি৷ লাল্টু ও সালেমা এর আগেও পুজোয় নানা পটচিত্রের জন্ম দিয়েছেন৷ কোনও বার তাঁদের তুলিতে মূত র্‌ হয়েছে গণেশের বিশ্বভ্রমণ , কখনও বা আঁকা হয়েছে হর -পাব র্‌তীর বিয়ের আখ্যান৷ চিত্রকর দম্পতির এ বছরের ‘থিম ’ শাঁখা পরতে না দেওয়ায় ভোলানাথকে ছেড়ে উমার বাপের বাড়ি যাত্রা!
শেষে শাঁখারি সেজে স্ত্রীর কাছে গিয়ে মানভঞ্জন করলেন শিব৷ সেই ছবি ভাষা পাচ্ছে লাল্টুর সুরে৷ রুপোর খাটে পা রেখে , সোনার খাটে গা এলিয়ে স্বামীর হাতে শাঁখা পরছেন দুগা র্‌!
বাংলার লোকসংস্কৃতির অন্যতম অংশ এই পটচিত্র কথা৷ সালেমা -লাল্টুর মতো ইটাগড়িয়া গ্রামের আরও কয়েক জন শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন৷ একসময় গ্রামের ২৫ জন শিল্পী রোজ সকালে পটচিত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়তেন৷ লাঠিতে পেঁচানো ছবির পর ছবি৷ পরপর বেরিয়ে আসছে নানা গল্পের চিত্ররূপ৷ সঙ্গে চিত্রকরের স্বরচিত গান -কবিতায় সেই চিত্রের ব্যাখ্যান৷ বাজনা বলতে শুধু ঢোল৷ চিত্রকর নিজেই বাজিয়ে গান করেন৷ আগে দিনের শেষে নগদ টাকা তো ঘরে আসতোই , সঙ্গে ভক্তিরসে আপ্লুত মানুষের দান চাল -আনাজ পেতেন চিত্রকররা৷ লাল্টু আক্ষেপ করেন , ‘পটের কদর আগের মতো নেই৷ অনেকে ফিরেও তাকায় না৷ আয় না পোষানোয় আমাদের অনেকে পেশাই ছেড়ে দিয়েছেন৷ আমরা মাত্র পাঁচ জন নেশায় বলুন , অন্য কিছু করার উপায় নেই বলেই বলুন , পটচিত্র কথা ছেড়ে যেতে পারছি না৷ ’দামী রংয়ের বালাই নেই৷ নারকোলের মালায় দেশি নানা উপকরণে রং গোলেন সালেমা৷ তিনি বলেন , ‘বাপ -ঠাকুরদার কাছে এই রং তৈরির কৌশল শিখেছি৷ সিম গাছের পাতা কিংবা হিঞ্চে শাকের রস নিংড়ে সবুজ রং তৈরির মজাই আলাদা৷ পাকা জাম বা পুঁই গাছের ফলে মেলে বেগুনি রং৷ স্রেফ ভুষো কালিতে জোগার করলেই কালো রং বানানো শুধু কয়েক মিনিটের ব্যাপার৷ ’ গৌরীর আখ্যান গলায় নিয়ে বাংলায় এখনও টিঁকে আছেন সালেম -লাল্টুদের মতো হাতেগোনা কয়েক জন চিত্রকর৷ পটচিত্র হাতে লাল্টু চিত্রকর ---নিজস্ব চিত্রবাংলার লোকসংস্কৃতির অন্যতম অঙ্গ পটচিত্র কথা৷ সালেমা -লাল্টুর মতো হাতেগোনা কয়েক জন চিত্রকর বাঁচিয়ে রেখেছেন শিল্পটিকে! 

Ei Samay 19-10-2015
 

Sunday, 4 October 2015

What Mahatma Gandhi Said to Those Who Wanted Beef Banned in India

What Mahatma Gandhi Said to Those Who Wanted Beef Banned in India


Rajendra Babu tells me that he has received some 50,000 postcards, between 25,000 and 30,000 letters and many thousands of telegrams demanding a ban on cow-slaughter. I spoke to you about this before. Why this flood of telegrams and letters? They have had no effect.
I have another telegram which says that a friend has started a fast for this cause. In India no law can be made to ban cow-slaughter. I do not doubt that Hindus are forbidden the slaughter of cows. I have been long pledged to serve the cow but how can my religion also be the religion of the rest of the Indians? It will mean coercion against those Indians who are not Hindus.
We have been shouting from the house-tops that there will be no coercion in the matter of religion. We have been reciting verses from the Koran at the prayer. But if anyone were to force me to recite these verses I would not like it. How can I force anyone not to slaughter cows unless he is himself so disposed? It is not as if there were only Hindus in the Indian Union. There are Muslims, Parsis, Christians and other religious groups here.
The assumption of the Hindus that India now has become the land of the Hindus is erroneous. India belongs to all who live here. If we stop cow slaughter by law here and the very reverse happens in Pakistan, what will be the result? Supposing they say Hindus would not be allowed to visit temples because it was against Shariat to worship idols? I see God even in a stone but how do I harm others by this belief? If therefore I am stopped from visiting temples I would still visit them. I shall therefore suggest that these telegrams and letters should cease. It is not proper to waste money on them.
I have been long pledged to serve the cow but how can my religion also be the religion of the rest of the Indians? It will mean coercion against those Indians who are not Hindus.
Besides some prosperous Hindus themselves encourage cow-slaughter. True, they do not do it with their own hands. But who sends all the cows to Australia and other countries where they are slaughtered and whence shoes manufactured from cow hide are sent back to India? I know an orthodox Vaishnava Hindu. He used to feed his children on beef soup. On my asking him why he did that he said there was no sin in consuming beef as medicine.
We really do not stop to think what true religion is and merely go about shouting that cow-slaughter should be banned by law. In villages Hindus make bullocks carry huge burdens which almost crush the animals. Is it not cow-slaughter, albeit slowly carried out? I shall therefore suggest that the matter should not be pressed in the Constituent Assembly…
I have been asked, ‘Since in view of the atrocities being perpetuated by Muslims it is difficult to decide which of the Muslims are to be trusted, what should be our attitude towards the Muslims in the Indian Union? What should the non-Muslims in Pakistan do?
I have already answered this question. I again repeat that all the religions of India today are being put to the test. It has to be seen how the various religious groups such as the Sikhs, the Hindus, the Muslims and the Christians conduct themselves and how they carry on the affairs of India. Pakistan may be said to belong to Muslims but the Indian Union belongs to all. If you shake off cowardice and become brave you will not have to consider how you are to behave towards the Muslims. But today there is cowardice in us. For this I have already accepted the blame.
In villages Hindus make bullocks carry huge burdens which almost crush the animals. Is it not cow-slaughter, albeit slowly carried out?
I am still wondering how my 30 years’ teaching has been so ineffective. Why did I assume, to begin with, that non-violence could be a weapon of cowards? Even now if we can really become brave and love the Muslims, the Muslims will have to stop and think what they could gain by practising treachery against us. They will return love for love. Can we keep the crores of Muslims in the Indian Union as slaves? He who makes slaves of others himself becomes a slave. If we answer sword with sword, the lathi with lathi and kick with kick, we cannot expect that things will be different in Pakistan. We shall then lose our freedom as easily as we have gained it…
[Translated from Hindi]
Prarthana Pravachan –I, pp 277-280
Note: The question of banning cow slaughter was debated in the Constituent Assembly and a consensus emerged that there should be no national statute banning the consumption of beef. The goal was instead included in the (non-binding) Directive Principles of State Policy.

http://thewire.in/2015/10/02/what-mahatma-gandhi-said-to-those-who-wanted-beef-banned-in-india-12170/

Masturbation is good for you, scientists explain

Love & Sex

Masturbation is good for you, scientists explain

Self love increases your fertility, makes you happier and helps you fight disease
Caroline Mortimer @cjmortimer Friday 11 September 2015 14:18 BST

Two YouTube science vloggers have tackled the persistent rumours around masturbation- that it can cause blindness, infertility or hairy palms - and explained that a little bit of self love is actually good for you.
Mitchell Moffit and Gregory Brown, who run the educationalASAPScience YouTube channel, say the practice could make you happier, healthier and improve your fertility.
The Canadian pair explain that chemicals released by masturbation include dopamine, which triggers the pleasure centres of the brain and reduces stress, endorphins which reduce pain - including menstrual pain in women - and prolactin, which aids sleep.
According to the duo, males especially benefit from masturbation when they are under the weather, as it increases the production of bacteria-fighting white blood cells.
They say it can also help prevent prostate cancer, one of the most common cancers in men, by flushing out the carcinogenic toxins in the prostate more regularly.
Mr Moffitt and Mr Brown, who have more than four million subscribers, also explain the evolutionary reason why men masturbate.
While a man's sperm count is lower when he has sex shortly after masturbating, they say the overall quality of the sperm improves.
This is believed to be because older sperm are expelled to make way for younger sperm, which are more likely to fertilise an egg.



Friday, 2 October 2015

14 Temples In India Where You Get A Lot More Than Just The Traditional Prasad

14 Temples In India Where You Get A Lot More Than Just The Traditional Prasad
http://media.indiatimes.in/media/author/2014/Sep/rutu_1410693324_1410693345_60x60.jpg
April 18, 2015


We Indians even have a god for sex - Kama. So it is only natural that we have erotic sculptures on our temples. There have been many questions raised on the reason behind having erotic sculptures and sexual imagery in a place otherwise considered so 'holy' and 'pure'. There are a few theories floating about but the most popular one seems to be that in order to enter a place so pure, you need to relieve yourself of all your desires and lust. It is by acceptance of lust and desire in you that you can learn to control it. Furthermore, these sculptures are always on the outer walls of temples meaning that the humans need to leave their desires outside before stepping in. In many Indian manuscripts, sex was considered to be spiritual and not hedonistic. There are many such theories but the fact remains that these temples are known more for their erotic sculptures than the deities residing inside.

1. Khajuraho, Madhya Pradesh

The most famous of the lot, Khajuraho temples are located in Madhya Pradesh in the small town of Khajuraho which they are named after. It is not just one temple but a group of temples. It is rumoured that Shiva and other deities visited the region during ancient times to play and hence, the temples were created in their honour. All Khajuraho temples, except one, face the east and the architecture of the temples is designed in a way that is a perfect integration of male and female deities and symbols. The artwork outside the temple, that is found to be the most interesting by tourists, is a depiction of the four goals of Hinduism - Dharma, Artha, Kama andMoksha. Hence, all the erotic imagery that has so enthralled tourists.
Khajuraho Temple
From Tigers to Tombs Wordpress Blog

2. Sun Temple, Konark

The Sun Temples of Konark are one of the most famous Sun Temples of India. Dedicated to the Sun God, the temple was created in the early 13th century and is also called by the name 'Black Pagoda'. Konark Sun Temple is in the form of a giant chariot and the stone wheels, pillars, walls are all exquisitely and intricately carved. Unfortunately, most of the carvings are now in ruins due to natural calamities and foreign invasions. The temple is known for 'Maithunas' which are the erotic sculptures on the temple walls. Britishers have called the Konark Temple 'most beautiful and yet the most obscene'. However, the erotic sculptures on the Sun Temple are explained by archaeologists, especially by A.K. Coomaraswamy, stating that the sculptures are a depiction of Indian sex-symbolism which is ‘sacramental’ in its likeness to the union of the individual soul with the universal spirit. The sculptures are a part of Samsara which the human must ultimately give up to reach within, on the path of Moksha.
Konark Sun Temple
Insights India Blogspot

3. Jagdish Mandir, Udaipur

Originally known as the Jagannath Rai temple, Jagdish Mandir is a famous temple in Udaipur. The temple is dedicated to Lord Vishnu and is a 3-storeyed temple elaborately carved. While the main structure inside the temple is of black stone, other structures are made of metals like brass. The temple walls even have inscriptions belonging to the time of Maharana Jagat Singh under whose reign the temple was constructed. The Jagdish Mandir temple also has some erotic imagery and the explanation for the same is in keeping with the others - that the outer walls of the temple symbolise the worldly pleasures that humans need to give up to reach the inner sanctum or God.
Jagdish Mandir
Sonya and Travis

4. Markandeshwar, Maharashtra

Located in a small district in Maharashtra is the Markandeshwar Shiv temple. Located on the banks of the river, the temple is believed to be extremely holy and though not a well known sight, flocked to by locals and tourists from within the state who believe in the power of the deity residing in the temple. The outside of the temple is architecturally different from the other temples as it belongs to a different ear. But the intricate carvings have been preserved to day. Some of the carvings include sexual imagery which some say is the work of demons as the temple is said to have been mysteriously constructed within one night.
Markandeshwar Temple
Blogspot

5. Padawali, Madhya Pradesh

Lost in the greenery near Chambal river, the Padawali ruins still stand tall and beautiful, ensnaring tourists who visit the tiny village. The temples are Shiv and Vishnu temples which have faced a lot of weathering through the ages. Though most of the temples are now in ruins, the statues and carving on the walls, tops and the stairs are still intact, giving people a fair idea of the stories they held. Among the various sculptures, there are also some erotic sculptures on the outer temple walls in various positions.
Padawali

6. Sun Temple, Gujarat

The Sun Temple at Modhera in Gujarat was constructed in the 11th century and lies on the banks of a river. Though the temple is no longer functional as a temple as no prayers or rituals are conducted here, it is still an important tourist place and under the Archaeological Survey of India. The temple has detailed architecture in the form of sculptures representing the different Hindu Gods and the Samudramanthanwhere the Hindu Gods battled over the elixir of life with the demons. The temple also has erotic sculptures and the reason cited for these sculptures is that in the olden era, sex was neither considered impure nor moralised, as it is today. It was seen as a pure act that brought fertility in the world and helped give birth. 
Sun Temple Modhera
Yogoyo

7. Osian, Rajasthan

The inclusion of erotic and sexual imagery on temple walls is not limited only to the Hindu religion. Even Jain temples have such imagery and sculptures carved on the outer walls of their 'derasars'. Osian is an ancient town located on the outskirts of Jodhpur that was once a bustling trade center but is today a part of the Thar dessert. It boasts of many religious monuments, Osian Jain Temple being one among them. The town, in olden days, saw a mixed Hindu and Jain population with harmony among them and the town was a major center for Jain pilgrims. The Jain temples had tales of Jain priests and Lord Mahavira (the youngest and lastTirthankar) carved on the walls. Along with these sculptures, there were also sculptures of Nagas (entwined snakes) and erotic imagery, giving the people an idea that sex was treated as one of the worldly pleasures, equal to other pleasures, and not looked down upon.
Osian
Zee News

8. Virupaksha, Hampi

Situated in Hampi, Karnataka, Virupaksha temple is a UNESCO World Heritage site and a part of a group of monuments. The Shiva temple boasts of a huge, elaborate structure and is situated on the banks of Tungabhadra river. A tributary of the river also flows through the temple kitchen and terrace. The temple is beautifully structured and has many parts like the sanctum, three ante chambers, a pillared hall and an open pillared hall. The courtyards, steps and smaller shrines lining the temples are also beautifully carved. The temple boasts of some erotic imagery on the outer walls.
Virupaksha
Wikimedia

9. Tripurantaka Temple, Karnataka

Another temple in Karnataka, Tripurantaka temple is a temple constructed in 1070 CE in today what is known as Shivamogga. The temple is mainly famous for the intricate stone carvings that adorn the sides and edges of windows and screens. Also carved on ceilings and walls are multiple mythical animals and tales from Indian epics. The temple has a lot of sculptures from the Kamasutra carved on the outer walls along with a huge mythical 2-faced bird believed to have been carved to scare away elephants from entering the premises.
Tripurantaka
Wikimedia

10. Kailasa, Ellora

Situated in a small part of the Ellora Caves, the Kailasa Temple is dedicated to Lord Shiva. The monolithic structure is designed to resemble Mount Kailasa, the home of Hindu God Shiva. The temple is believed to have been constructed between 757-783 CE by the ruler Krishna and is famous for its vertical creation. In fact, workers started at the top of the rock and continued downwards. The temple has a depiction of Ravana trying to lift Mount Kailasa as a sculpture. The other sculptures carved are done in a way that on the left side, there are sculptures for the followers of Lord Shiva and on the right, for the followers of Lord Vishnu. 
Kailasa
Loupiote

11. Ranakpur, Rajasthan

A temple dedicated to Adinath (also known as Rishabha) the first Jain Tirthankar, Ranakpur Temple is situated close to Udaipur. Though not as popular as Dilwara, many tourists prefer this temple to the Mount Abu one as it is more elaborate and serene. The temple is constructed entirely out of white marble and took 65 years to complete. It has 27 halls that are supported by 1447 pillars and each pillar is intricately carved. The most surprising part about the sculptures is that no two carvings are alike. 
Ranakpur
Flickr

12. Bhoramdeo, Chattisgarh

Bhoramdeo temples are located at Chattisgarh and are a group of 4 temples, the earliest of which was built in bricks and the rest in stone. The temple has been described as "scintillating poetry in stone" and the temples are also called the Khajuraho of Chattisgarh, given the number of erotic architecture on the temples. The temple  was built under the reign of kings who are believed to have practised Tantrism and Occult and hence, many of the sculptures on the walls are related to occult sciences. 
Bhoramdeo
Wikimedia

13. Nanda Devi Temple, Almora

Located in idyllic Uttarakhand, the Valley of Flowers, Nanda Devi temple Uttarakhand is a temple dedicated to Nanda Devi, the consort of Lord Shiva. Legend has it that Nanda Devi left her village and went to the Nanda Devi parbat (mountain). The Nanda Devi fair is held every year around the temple in honour of the Goddess and her sister. The temple is a simple temple but has some erotic carvings on the walls. The symbol of these elements on the temple is urging the people to give up their pleasures to enjoy the afterlife.
Nanda Devi Temple
Go Places

14. Lingaraja Temple, Bhubaneshwar

Lingaraja Temple in Bhubaneshwar is a temple dedicated to Lord Shiva and there is also the Harihara form which is the combined form of Lord Vishnu and Shiva. The temple is widely popular with locals and tourists and sees as many as 6000 tourists per day. The temple has animal and mythological graffiti as well as sculptures. The temple also has a lot of erotic art and images from the Kamasutra, the sacred Hindu text on sex. 
Lingaraj Temple